Sunday, March 17

সবচেয়ে বেশি তথ্য সংরক্ষনে সক্ষম বাংলাদেশের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
বিশেষ নিরাপত্তা বেষ্টিত ছাপাখানায় লেজার প্রিন্টে বসে যাচ্ছে ২৮ রকমের তথ্য। ৩ স্তরে সন্নিবেশিত হচ্ছে ২৫ ধরণের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য। শয়ে শয়ে তৈরি হচ্ছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র।
এই স্মার্ট কার্ডটি কিভাবে তৈরি হয়, এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার বুঝতে গেল সপ্তাহে টিম CTRL A গিয়েছিল রাজধানীর আগারগাওয়ের নির্বাচন কমিশনে। যেখানে পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার নিয়ে পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে প্রথমেই নেওয়া হয় দশ আঙ্গুলের ছাপ।
এরপরে চোখের রেটিনা স্ক্যান। যে দুটি তথ্যই নিশ্চিত করবে একজন মানুষের সুনির্দিষ্ট পরিচয়। এরপর পুরনো ছবি পরিবর্তনের আবেদন অনুযায়ী তোলা হয় নতুন ছবি। এসব তথ্যই এরপরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ছাপাখানায়।
বাংলাদেশে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে পলি কার্বনেট, যার অন্তত ১০ বছর আয়ুষ্কাল নিশ্চিতে করা হয়েছে সিমুলেশন টেস্ট। ডেটা স্টোর করে রাখতে সন্নিবেশিত হয়েছে ২৫৬ কিলোবাইট মেমোরির কন্টাক্ট চিপ, যা বিশ্বে এখনো পর্যন্ত তৈরি হওয়া স্মার্টকার্ড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তথ্য ধারণ ও এপ্লিকেশন চালাতে সক্ষম।
চিপের আইসির আয়ুষ্কাল ১ লাখ সাইকেল, অর্থাৎ ১০ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন আপনি কার্ডটি ২৮ বার করে পাঞ্চ করতে পারবেন। ইতোমধ্যেই কার্ডটিতে ২৮ রকমের তথ্য রাখা হয়েছে, যা সময় ও চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে বাড়ানো হবে।
স্মার্ট কার্ডটিতে ৩টি স্তরে ২৫ রকমের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সন্নিবেশিত হয়েছে। প্রথমটি দেখা যাবে খালি চোখেই, দ্বিতীয়টির জন্য প্রয়োজন আল্ট্রাভায়োলেট রে, এবং ৩য় স্তরেরটি দেখতে ফরেনসিক টেস্ট। এর ফলে কোন একটি লেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তথ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার কোন ক্ষতি হবে না। যা নকল করা প্রায় অসম্ভব। কার্ডটি ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল ডকুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার উপযোগীতার আইকাও সনদ ছাড়াও অন্তত ২০টি সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
প্রায় ৯ কোটি কার্ড বিতরণের লক্ষ্য নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলা ও থানা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি। যা দিয়ে ভবিষ্যতে অপরাধী সনাক্তকরণ ছাড়াও নিয়ন্ত্রন করা যাবে প্রবেশাধিকার, ব্যবহার করা যাবে পাসপোর্ট বিহীন ইমিগ্রেশন সহ যানবাহনের ভাড়া মেটাতে। সরকারের ইচ্ছা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এখন অন্যান্য দেশের জন্যেও এমন কার্ড তৈরি করে দেওয়ার।
স্মার্ড কার্ডটি শুরুতে একটি ফরাসি প্রতিষ্ঠান তৈরি করলেও এখন পুরোপুরিই তৈরি হচ্ছে দেশে। যা বাচিয়ে দিয়েছে দেশের অন্তত আড়াইশো কোটি টাকা।-চ্যানেল২৪

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়