Sunday, February 10

কানাইঘাটে সুরমার চরে সবজির মেলা

মাহবুবুর রশিদ
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৭টা। ঘন কুয়াশায় চারদিক তখনও ঢাকা। সুরমা নদীর অববাহিকায় কুয়াশা থাকায় নদী আর আকাশ যেন এক হয়ে গেছে। সূয্যিমামা উঁকি দেওয়ার আগেই হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে সবজি চাষিরা হাজির হয়ে গেছেন সিলেটের কানাইঘাট পূর্ব বাজারের পাশে সুরমা নদীর চরে সবজির হাটে। তীব্র শীত, গায়ে চাদর আর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে সবজিভর্তি সারি সারি নৌকা নিয়ে হাজির হয়েছেন এখানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে চাষিদের উপস্থিতিও বাড়ে। একপর্যায়ে সবজি চাষি, ক্রেতা আর বিক্রেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় শীতকালীন এ সবজির হাট।

মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, লাউশাক, লালশাক, শসা, ঝিঙ্গা, লাউ, সরিষা, মরিচসহ নানা জাতের সবজি নিয়ে আসেন তারা উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে।

প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর চরে বসে এ শীতকালীন সবজির হাট। দূর-দূরান্ত থেকে সবজি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় করেন হাটে। 

কার্যত শীতকালে কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি শুকিয়ে যায়। তখন জেগে ওঠে বিশাল চর। খননের অভাবে ভরাট হয়ে যাওয়া নদীর বুকে বছরের এ সময়ে বসে শীতকালীন সবজির হাট। সবজিগুলো উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ছাড়াও সিলেটের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তা, গোয়াইনঘাট এলাকাসহ আরও কয়েকটি উপজেলায় বিক্রি হয়।

সবজির হাটে কথা হয় বদিকোনা গ্রামের চাষি সুলেমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর সবজি চাষ মোটামুটি ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেছি এ হাটে। 

আরও কয়েকজন জানালেন, শীতকালীন শাকসবজির ভালো ফলন হয়েছে। তবে তারা ন্যায্যমূল্য পান না।

হাটের ইজারাদার ছায়াদ উদ্দিন বলেন, এই হাট থেকে প্রতিদিন শত শত টন সবজি ট্রাক, পিকআপ ও সিএনজিযোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকার সবজি বিক্রি হয় এখানে।

কানাইঘাট নিউজ ডটকম/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ইং

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়