কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
এ প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল কথাশিল্পীদের একজন ফরিদুল ইসলাম নির্জন। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও নির্জন তার পাঠকদের জন্য নিয়ে এসেছেন সমাজ বিপ্লবের ওপর উপন্যাস ‘আশ্রয়’।
ধ্রুব এষের প্রচ্ছদে বইটি প্রকাশ করেছে জাগৃতি প্রকাশনী। ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই উপন্যাসটি পাওয়া যাচ্ছে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে জাগৃতির ২২৫, ২২৬ ও ২২৭ নম্বর স্টলে।
‘আশ্রয়’ নির্জনের দ্বিতীয় উপন্যাস এবং চতুর্থ বই। এর আগে ২০১৬ সালের গ্রন্থমেলায় প্রকাশ হয় তার প্রথম বই ‘স্কুল মাঠে ভূতের মেলা’ (২০১৬)। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের বইমেলায় তিনি নিয়ে আসেন প্রথম উপন্যাস ‘আজো খুঁজি তারে’। আর গত বছর প্রকাশ হয় তার তৃতীয় বই ‘প্রেমের নাম হাসপাতাল’ (২০১৮)। নির্জনের দ্বিতীয় বইটি প্রকাশ করে জাগৃতিই। আর প্রথম ও তৃতীয় বই দু’টি প্রকাশ করে দেশ পাবলিকেশন্স।
গ্রামীণ পটভূমিতে লেখা ‘আশ্রয়’ উপন্যাসকে নির্জন বলছেন সামাজিক আখ্যান। বইটির ভূমিকায় প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, ‘আশ্রয়’ উপন্যাসের পটভূমি নারীর বেঁচে থাকার দুস্তর পথের অভিযাত্রা। গ্রামীণ পটভূমিতে রচিত এই উপন্যাস সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে।
‘আশ্রয়’ সম্পর্কে ফরিদুল ইসলাম নির্জন বলেন, লেখালেখি করি বলে আমি কিছু দায়বদ্ধতা আছে মনে করি। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই লিখেছি ‘আশ্রয়’। যেখানে আছে সেকেলে এক সামাজিক ব্যবস্থায় নিপীড়িত নারীদের জীবন-সংগ্রাম। এই ‘আশ্রয়’ সমাজের চোখ খুলে দিতে, নিপীড়নের ক্ষেত্র নিঃশেষ করে দিতে এবং নিপীড়িতদের সংগ্রামকে বিজয়ী করতে যদি ন্যূনতমও প্রভাবক হয়, তবেই পরিশ্রম সার্থক মনে করবো।
সিরাজগঞ্জের মো. আসমত আলী ও মরহুমা ফাতেমা বেগমের ছেলে নির্জনের সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ শৈশব থেকেই। সাহিত্য পড়তে পড়তেই লেখার আগ্রহ, তারপর থেকেই সূচনা। হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী নির্জন এরপর থেকে লিখে চলেছেন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক পত্রিকা এবং শীর্ষস্থানীয় অনলাইনগুলোতে।
বিচিত্র বিষয়ে ফিচার-প্রবন্ধ লিখলেও নির্জনের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা গল্প-কবিতার জন্য। সাহিত্য বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘সুহৃদ বন্ধন’ ও ‘প্রজন্ম একুশ’ সম্পাদনা করে নির্জন এক্ষেত্রেও দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা।
কানাইঘাট নিউজ ডটকম/ডেস্ক/এম আর/০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
খবর বিভাগঃ
বইমেলা
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়