Wednesday, December 6

কানাইঘাটের সিঙ্গাইরখালে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবী


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট বড়চতুল ইউপির সীমানার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানি আটকানোর জন্য সিঙ্গাইরখালের দুর্গাপুর পুর্ব গ্রাম হতে ত্রিগাঙ্গা ব্রিজ পর্যন্ত ডাইক নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়চতুল ইউপি ও পাশ্ববর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার চারীকাটা ইউনিয়নের মধ্যখানে সিঙ্গাইরখাল অবস্থিত। উজান থেকে নেমে আসা দীর্ঘ সিঙ্গাইরখাল চতুল বাজার অতিক্রম করে লাইন নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম সহ বিভিন্ন সময়ে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও লাইন নদী থেকে তীব্র স্রোতের কারণে সিঙ্গাইরখালের পানির প্রভাব উভয় দিক থেকে বিস্তৃত হয়ে বড়চতুল ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রাম ও বিস্তৃর্ণ ফসলী জমিতে পানি ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। বর্ষা মৌসুমে বানের পানি মানুষের বাড়িঘরে ঢুকে পড়ে চরম দুর্-ভোগের সৃষ্টি হয় বলে বড়চতুল ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সহ এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, সিঙ্গাইরখালের পাশদিয়ে জৈন্তাপুর চারীকাটা ইউপির মাটির সড়ক রয়েছে। উক্ত সড়ক দিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ওপারে মাটির রাস্তা থাকায় সিঙ্গাইরখাল ও লাইন নদীর পানির প্রবাহে তাদের কোন জমির ফসলের ক্ষতি হয় না। কিন্তু চতুল বাজার থেকে শুরু হয়ে দুর্গাপুর পুর্ব গ্রাম পর্যন্ত সিঙ্গাইরখালের সীমানা কানাইঘাটের অংশ মাটির রাস্তা নির্মাণ করা হলেও অবশিষ্ট ৬নং ওয়ার্ডের রতনপুর গ্রাম হইতে ত্রিগাঙ্গা ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ অবশিষ্ট থাকায় বর্ষা মৌসুম ও বিভিন্ন সময়ে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে চতুল ইউপির দুর্গাপুর, রতনপুর, ভাটিপাড়া, পর্বতপুর, ডুংগ্রাগ্রাম, সরুফৌদ, বেতু, আগফৌদ, দলকিরাই, মুক্তাপুর সহ বেশ কয়েটি গ্রামের জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় প্রতি বর্ষাকালে। বর্তমান সরকার কৃষিখাতে সর্বোপরি সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বড়চতুল ইউপির কৃষকদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে সিঙ্গাইর খালের প্রবাহিত পানি। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবী পানি উন্নয়ন র্বোড সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কানাইঘাটের হাওর এলাকার উন্নয়নে নদী খনন বিভিন্ন জায়গায় সুইচ গেইট নির্মাণ মাটির রাস্তার কাজ চলছে। মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে নদী খননের আওতায় এনে লাইন নদী ও সিঙ্গাইরখালের পানির প্রভাবের হাত থেকে এলাকাবাসীর ফসলী জমি ক্ষয়ক্ষতির হাত রক্ষা করতে এবং কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটাতে এই ২ কিলোমিটার মাটির বাঁধ দ্রুত নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। লাইন নদীর মোহনা চতুল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া অংশ এবং ত্রিগাঙ্গা ব্রিজে সরকারী ভাবে সুইচ গেইট নির্মাণ করা হলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন বলে বড়চতুল ইউপির দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা জাতীয়পাটির আহবায়ক শামীম আহমদ সহ অনেকে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়