Thursday, June 15

কাতারের গ্যাস না পেলে অচল হয়ে যাবে দুবাই

কাতারের গ্যাস না পেলে অচল হয়ে যাবে দুবাই

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আরব দেশগুলোর মধ্যে চলা বর্তমান অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো কাতারের সঙ্গে সৌদি-দুবাই সহ কয়েকটি দেশ সম্পর্কচ্ছেদ করলেও কাতার এ বিষয়টি নিয়ে এখনো নমনীয় মনোভাব পোষণ করছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোর অন্যতম কাতারের হাতে আরব আমিরাতকে অচল করে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া আরব দেশগুলোর মধ্যে ছোট্ট দেশ কাতারের ক্ষমতাও কোনো অংশে কম নয়।

বিশেষ করে তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সবচেয়ে বড় উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ কাতার। সেই সঙ্গে তেল রপ্তানিতেও অন্যতম বৃহৎ দেশ। ফলে এ দেশটির সরবরাহ ব্যবস্থা যদি নিরবচ্ছিন্ন না হয় তবে তা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোও এ ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে না।

বিশেষ করে এলএনজির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) কাতারের যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি কাতারকে তাদের প্রয়োজন। কাতার থেকে তরলায়িত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আরব আমিরাত।  সৌদি আরবের সঙ্গে একত্রিত হয়ে তারা কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিলেও কাতার কার্যত এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে ইউএইর বিদ্যুতের অর্ধেকই আসে কাতারের গ্যাস থেকে। এ দেশটি থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউএইতে গ্যাস যায়। এ লাইন এখনো বিচ্ছিন্ন করা হয়নি, ফলে অব্যাহত রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। কিন্তু কাতার যদি তাদের গ্যাস বন্ধ করে দেয় তবে দুবাইতে গড়ে ওঠা বড় বড় সব অট্টালিকা অন্ধকারে ছেয়ে যাবে। কারণ এসব ভবনের বিদ্যুৎ আসে এ গ্যাসে।

জানা যায়, প্রতিদিন কাতার থেকে ৩৬৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২ বিলিয়ন কিউবিক গ্যাস যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিশ্বে এলএনজির তৃতীয়বৃহৎ মজুদ রয়েছে কাতারে।

ইউএইর কাছে এর বিকল্প হচ্ছে অন্য কোনো দেশ থেকে এর চেয়ে বেশি খরচে প্রাকৃতিক গ্যাস নেওয়া, যা তাদের জন্য অনেক বেশি ব্যয়বহুল ও কষ্টসাধ্য হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, কাতারের গ্যাস এখনো স্বাভাবিকভাবেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে পাইপলাইন দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সরবরাহ বন্ধ হবে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। ব্লুমবার্গ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়