কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সৌদি
আরবসহ কয়েকটি দেশের অবরোধের প্রেক্ষাপটে কাতারে খাদ্য সংকট দেখা দিতে
পারে, এমন আশংকা দেখা দিয়েছে। সৌদি আরব থেকেই এতদিন কাতারের মোট
খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হত। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতার-সৌদির
সব সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
কাতারকে পাঁচটি বিমান বোঝাই বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে ইরান। এমন প্রেক্ষাপটে কাতারের বাজারে প্রয়োজনীয় খাদ্য-পন্যের সরবরাহ কতটা আছে? তার দামই বা কতটা সহনীয় পর্যায়ে আছে?
কাতারের দোহায় একটি হোটেলে কর্মরত বাংলাদেশী আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, প্রথম কয়েকদিন খাবারের দাম উর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন সেটি স্থিতিশীল হয়েছে। ইরান এবং এবং তুরস্ক থেকে কাতারের জন্য খাদ্য পাঠানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আতিকুর রহমান বলেন, "প্রথম দুইদিন তো কেউ সাপ্লাই দিতে পারে নাই। ইরানও দিতে পারে নাই তুরস্কও দিতে পারে নাই। ওদের খাবারের গুণগত মানও সৌদি আরব থেকে ভালো। সবাই এখন এটাকে লাইক (পছন্দ) করতেছে"।
সৌদি আরবসহ আরো তিনটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করায় ফল এবং সবজীর দাম কিছুটা বেড়েছে। তুরস্ক থেকে দুগ্ধজাত পণ্য আসছে কাতারে।
এ অবরোধের সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী খাদ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাতার সরকার হুশিয়ারি দিয়ে বলে খাদ্য মজুত করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আতিকুর রহমান বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদী হলে কম রোজগারের মানুষ সমস্যায় পড়তে পারে। এক্ষেত্রে যাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম তাদের জন্য পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন।
তিনি বলেন, "খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই এর এফেক্ট (প্রভাব) আসতে পারে, যেহেতু তাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম। সাধারণত খাবারের জন্য প্রতিমাসে ৩০০ থেকে ৩৫০ রিয়াল খরচ করতে হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ৫০০ রিয়ালের উপরে চলে আসবে। এতে করে তাদের প্রবলেম হতে পারে''।
তবে যাদের রোজগার বেশি, তারা কোন সংকটে পড়বে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাতারের নাগরিকরা আশা করছেন দ্রুত এ সংকটের সমাধান হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত সে ধরনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে অবরোধের কারণে ওমান হয়ে পণ্য আমদানি শুরু করেছে কাতার।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেবার অভিযোগ এনে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং আরো কয়েকটি দেশ। যদিও সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে কাতার।
সূত্র: বিবিসি
কাতারকে পাঁচটি বিমান বোঝাই বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে ইরান। এমন প্রেক্ষাপটে কাতারের বাজারে প্রয়োজনীয় খাদ্য-পন্যের সরবরাহ কতটা আছে? তার দামই বা কতটা সহনীয় পর্যায়ে আছে?
কাতারের দোহায় একটি হোটেলে কর্মরত বাংলাদেশী আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, প্রথম কয়েকদিন খাবারের দাম উর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন সেটি স্থিতিশীল হয়েছে। ইরান এবং এবং তুরস্ক থেকে কাতারের জন্য খাদ্য পাঠানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আতিকুর রহমান বলেন, "প্রথম দুইদিন তো কেউ সাপ্লাই দিতে পারে নাই। ইরানও দিতে পারে নাই তুরস্কও দিতে পারে নাই। ওদের খাবারের গুণগত মানও সৌদি আরব থেকে ভালো। সবাই এখন এটাকে লাইক (পছন্দ) করতেছে"।
সৌদি আরবসহ আরো তিনটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করায় ফল এবং সবজীর দাম কিছুটা বেড়েছে। তুরস্ক থেকে দুগ্ধজাত পণ্য আসছে কাতারে।
এ অবরোধের সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী খাদ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাতার সরকার হুশিয়ারি দিয়ে বলে খাদ্য মজুত করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আতিকুর রহমান বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদী হলে কম রোজগারের মানুষ সমস্যায় পড়তে পারে। এক্ষেত্রে যাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম তাদের জন্য পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে তিনি আশংকা করছেন।
তিনি বলেন, "খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই এর এফেক্ট (প্রভাব) আসতে পারে, যেহেতু তাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম। সাধারণত খাবারের জন্য প্রতিমাসে ৩০০ থেকে ৩৫০ রিয়াল খরচ করতে হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ৫০০ রিয়ালের উপরে চলে আসবে। এতে করে তাদের প্রবলেম হতে পারে''।
তবে যাদের রোজগার বেশি, তারা কোন সংকটে পড়বে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
কাতারের নাগরিকরা আশা করছেন দ্রুত এ সংকটের সমাধান হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত সে ধরনের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে অবরোধের কারণে ওমান হয়ে পণ্য আমদানি শুরু করেছে কাতার।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেবার অভিযোগ এনে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং আরো কয়েকটি দেশ। যদিও সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে কাতার।
সূত্র: বিবিসি
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়