কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: নারকীয়
ভাবে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টাকারী বদরুল আলমের যাবজ্জীবন কারাগারের সাজার খবরে
খুশি খাদিজা বেগম নার্গিস। তবে তিনি বদরুলের ফাঁসি চেয়েছিলেন।
হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান খাদিজা।
খাদিজা বলেন, 'আমার মামলায় বদরুলের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে শুনে খুশি হয়েছি। তবে ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।'
বুধবার ১১টা ৫৯ মিনিটে এই রায় ঘোষণা করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।
গত রোববার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে খাদিজাকে। বর্বর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়।
হামলার পর মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খাদিজার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় সিলেট থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয় খাদিজাকে। প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের গ্রামের বাড়ি ফিরেন খাদিজা।
এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর থানায় মামলা করেন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুছ। একমাত্র আসামি করা হয় ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলমকে। গ্রেফতারের পর ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন আসামি বদরুল।
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলা তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ভিকটিম খাদিজাসহ ৩৫ জন সাক্ষ্য দেন এই মামলায়।
আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকালে খাদিজা বলেন, বদরুল আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে, আমি বিচার চাই।
গত ৫ অক্টোবর বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওইদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বদরুল চিৎকার করে বলতে থাকেন, 'আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক।'
হত্যাচেষ্টা মামলার রায়ের পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান খাদিজা।
খাদিজা বলেন, 'আমার মামলায় বদরুলের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে শুনে খুশি হয়েছি। তবে ফাঁসির রায় হলে আরও খুশি হতাম।'
বুধবার ১১টা ৫৯ মিনিটে এই রায় ঘোষণা করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা।
গত রোববার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিস। শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলম চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে খাদিজাকে। বর্বর হামলার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে দেশে-বিদেশে তোলপাড় শুরু হয়।
হামলার পর মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে খাদিজাকে সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খাদিজার অবস্থা আশংকাজনক থাকায় সিলেট থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয় খাদিজাকে। প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিলেটের গ্রামের বাড়ি ফিরেন খাদিজা।
এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর থানায় মামলা করেন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুছ। একমাত্র আসামি করা হয় ছাত্রলীগ ক্যাডার বদরুল আলমকে। গ্রেফতারের পর ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন আসামি বদরুল।
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলা তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২৯ নভেম্বর এই মামলার একমাত্র আসামি বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ভিকটিম খাদিজাসহ ৩৫ জন সাক্ষ্য দেন এই মামলায়।
আদালতে সাক্ষ্য প্রদানকালে খাদিজা বলেন, বদরুল আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে, আমি বিচার চাই।
গত ৫ অক্টোবর বদরুলকে আদালতে হাজির করা হলে হামলার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওইদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বদরুল চিৎকার করে বলতে থাকেন, 'আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক।'
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়