কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন হচ্ছে ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের। এই উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচনেই ইতিমধ্যে ঝরে গেছে দুুটি তাজা প্রাণ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ডাবল মার্ডারের ওই ঘটনায় ওসমানীনগর এখন উত্তপ্ত। একইসাথে রয়েছে শোকের কালো ছায়াও।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোনো সংঘাত না হয়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
চলতি মাসের ১ তারিখ নির্বাচন কমিশন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ৬ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ওসমানীনগরে লাগে ভোটের হাওয়া। এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এজন্য আওয়মাী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। উত্তপ্ত হতে থাকে রাজনীতির মাঠ।
বিশেষ করে আওয়ামী লীগের জন্য ওসমানীনগরের নির্বাচনী মাঠ হয়ে ওঠে প্রতিকূল। দল থেকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এজন্য দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে, চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমানের বিপক্ষে জগলু মাঠ না ছাড়ায় দলটির জন্য নির্বাচনী পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হতে থাকে। যার পরিণতি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। আর সে সংঘর্ষে ডাবল মার্ডার।
গত রবিবার সকালে আতাউর রহমান ও জগলু চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সাইফুল ইসলাম নামের এক কিশোর নিহত হয়। সংঘর্ষে আহত সুহেল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি সোমবার ওসমানী হাসপাতালে মারা গেছেন। এই ডাবল মার্ডার নিয়ে ওসমানীনগরের পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের এখনও প্রায় সপ্তাহখানে বাকি। এরইমধ্যে ঝরে গেছে দুটি তাজা প্রাণ। এ নিয়ে জগলু চৌধুরী ও আতাউর রহমানে ভাগ হয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিক্ষুব্দ মনোভাব কাজ করছে। যে কোনো সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ফের বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে।
তবে আর কোনো সংঘাত এড়াতে তৎপর হয়ে ওঠেছে প্রশাসন। এজন্য সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার পরই সোমবার ওসমানীনগরে ছুটে এসেছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। সেখানে নির্বাচনে প্রার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করেছেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নির্বাচনে কোনো অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। কোনো ধরনের সংঘাতও কাম্য নয়।’
ওসমানীনগর থানার ওসি আবদুল আউয়াল চৌধুরী বলছেন, ‘আর কোন ঘটনা যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি রির্টানিং অফিসার শওকত আলী বলেন, ‘সৃষ্ট ঘটনায় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’ -
সূত্র: সিলেট ভিউ:
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়