Tuesday, January 3

পূর্ণ হলো সিলেট জেলার ২৩৪ বছর


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার ২৩৪ বছর পূর্ণ হলো সিলেটের। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭৮২ সালের ৩ জানুয়ারি সিলেট জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন সেটি ছিল বঙ্গপ্রদেশের অধীনে। এরপর ১৮৭৮ সাল পর্যন্ত ছিল বঙ্গপ্রদেশের অধীনে। এরপর ১৮৭৮ থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত ছিল আসামপ্রদেশের অধীনে। পরে সিলেট জেলা পূর্ব পাকিস্তানের অধীনে চলে যায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত অলি আউলিয়ার পাদস্পর্শে ধন্য সিলেট। উইকিপিডিয়াসূত্রে জানাযায়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের একটি প্রধান শহর, একই সাথে এই শহরটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহর। এটি সিলেট জেলার অন্তর্গত। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকাই মূলত সিলেট শহর হিসেবে পরিচিত। সিলেট ২০০৯ সালের মার্চ মাসে একটি মেট্রোপলিটন শহরের মর্যাদা লাভ করে। সুরমা নদীর তীরবর্তী এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপুর্ণ শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এ শহরটি দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত। সিলেট বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী জেলা হিসেবে পরিচিত। শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভাবে সিলেট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ধনি জেলা। জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তুপ পর্যটকদের টেনে আনে বার বার। এ শহরের বিশাল সংখ্যক লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। সিলেটের পাথর, বালুর গুণগতমান দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এখানকার প্রাকৃতিক গ্যাস সারা দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে থাকে। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ জেলার ভূমিকা অপরিসীম। জেনারেল এম,এ,জি ওসমানী এ জেলারই কৃতী সন্তান। হযরত শাহজালাল (র.) ও হযরত শাহ পরান (র.) এর পবিত্র মাজার শরীফ এ জেলায় অবস্থিত। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ লোক মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আগমন করে। আসে বিপুল সংখ্যক পর্যটক। সিলেট এর স্থানীয় ভাষা ‘সিলটি ভাষা’র একটি বিশেষত্ব রয়েছে যা অন্য অঞ্চল থেকে পৃথক। এ ছাড়া নাগরী বর্ণমালা নামে সিলেটের নিজস্ব বর্ণমালা ও রয়েছে। শীত মৌসুমে সিলেটের হাওর-বাওর গুলো ভরে ওঠে অতিথি পাখির কলরবে।
 তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া,সিলেটভিউ২৪ডটকম ও ইন্টারনেট।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়