Sunday, January 1

'এমপি সাহেবের শাস্তি চাইছিলাম, তার মৃত্যু চাই নাই'

 'এমপি সাহেবের শাস্তি চাইছিলাম, তার মৃত্যু চাই নাই'

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: এক বছর আগে তারই গুলিতে আহত হয়েছিল স্কুলছাত্র শাহাদাত হোসেন সৌরভ। কিন্তু এখন গাইবান্ধার সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছে ওই শিশু ও তার পরিবার।

প্রাথমিক শেষ করে এবার ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠা সৌরভ বলেছে, “খুব খারাপ লাগতিছে। আমাকে গুলি করছিল বলে এমপি সাহেবের শাস্তি চাইছিলাম। তার মৃত্যু চাই নাই।” এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সৌরভের বাবা সাজু মিয়া।

২০১৫ সালের ২ অক্টোবর ভোরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ এলাকায় চাচার সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়ে সাংসদ লিটনের ছোড়া গুলিতে আহত হয় সৌরভ। দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ এই শিশুকে দীর্ঘদিন রংপুরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়।

ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে থেকে গত অগাস্টে জামিনে মুক্তি পান সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি লিটন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও হয়েছে।

সারা দেশে আলোড়ন তোলা ওই গুলির ঘটনার চৌদ্দ মাসের মাথায় শনিবার সন্ধ‌্যায় মোটরসাইকেলে করে আসা অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক সুন্দরগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে লিটনকে গুলি করে হত‌্যা করে।

রোববার সকালে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ গ্রামে কথা হয় সৌরভ ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

পঞ্চম শেষ করে এবার গোপালচরণ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে সৌরভ। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিন স্কুলের বই উৎসবে যায়নি সে। “ এমপি সাহেবের কথা খালি মনে পড়তিছে। কিছু ভালো লাগিতিছে না। বই আনতে স্কুলে যাই নাই, বই আনতে বাবা গেছিল।”

ছেলে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দীর্ঘদিন শঙ্কা নিয়ে দিন কাটানো সাজু মিয়াও এমপি লিটনের এমন মৃত‌্যুতে ‘খারাপ লাগার’ কথা বলেছেন।
সাজু জানান, ছোট মেয়ের আকিকার অনুষ্ঠানের কার্ড দিতে চেয়েছিলেন সাংসদ লিটনকে; তা আর হল না।

“আমার চার মাসের মেয়ের আকিকা ১৩ জানুয়ারি। কার্ড ছাপাইছি। এমপি সাইবকে দাওয়াত দেওয়ার জন্যে একটা কার্ডে তার নামও লেখছি। ৫ জানুয়ারি মামলার তারিখ। তার আগে এমপি সাইবের সঙ্গে দেখা করে কার্ডটা দিয়া দাওয়াত করি আসবো ভাবছিলাম।

সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়