Tuesday, December 6

জেলা পরিষদ নির্বাচন: সবচেয়ে ধনী এনামুল সরদার, আয়হীন লুৎফুর!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী অধ্যক্ষ এনামুল হক সর্দার। আর সাবেক প্রশাসক এডভোকেট মো. লুৎফুর রহমানের কোন আয় নেই। ফখরুল ইসলামের বার্ষিক আয় মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও জিয়া উদ্দিন আহমদ লালার বার্ষিক আয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। মনোনয়নপত্রের সাথে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তাদের আর্থিক সামর্থ্যের এমন তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, অধ্যক্ষ এনামুল হক সরদারের নিজের এবং স্ত্রীর আয় মিলিয়ে বার্ষিক আয় ১৬ লক্ষাধিক টাকা। এ ছাড়া তার অস্থাবর সম্পদ যেমন আছে, তেমনি আছে প্রচুর ব্যাংক ঋণ। ৩টি ব্যাংকে তার ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬৩ লক্ষ টাকা। নিজের এবং যৌথ নামে তার কৃষিজমিও রয়েছে কিছু। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএ-পিএইচডি। নিজের নামে ১০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ ও স্ত্রীর নামে আছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের আরেকটি গাড়ি। তার নিজের নামে ব্যাংকে জমা আছে প্রায় ৮ লাখ টাকা আর স্ত্রীর নামে আছে প্রায় ১১ লাখ টাকা। দি ম্যান এন্ড কোম্পনীর শেয়ার আছে প্রায় ১৯ লাখ টাকার, সঞ্চয়পত্র আছে ৩ লাখ টাকার আর আলীকোতে বিনিয়োগ আছে প্রায় আড়াই লাখ টাকার। জিয়া উদ্দিন আহমদ লালার বার্ষিক আয় সোয়া ২ লাখ টাকা। এরমধ্যে ভাড়া বাবদ ২ লাখ ১০ হাজার টাকা, এবং বাকীটা আসে কৃষিখাত থেকে। তার ব্যাংকে জমা আছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণালংকার আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সম্পদ দেখানো হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার। তার নামে কোন ব্যাংক ঋণ নেই এবং হলফনামায় তার কোন কৃষিজমিও দেখানো হয়নি। সাবেক প্রশাসক এডভোকেট লুৎফুর রহমানের নিজের কোন আয় নেই। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এলএলবি। তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ছেলেদের কাছ থেকে পাওয়া ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার ব্যাংকে জমা আছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এছাড়া স্ত্রীর স্বর্ণালংকার, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, আসবাবপত্র আছে প্রায় ৫ লাখ টাকার। যৌথ নামে তার আছে ৮৬ শতক কৃষি ও ২৬ শতক অকৃষিজমি। মো. ফখরুল ইসলাম স্ব-শিক্ষিত। তার বার্ষিক আয় কৃষিখাত থেকে পাওয়া ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও স্ত্রীর ২ ভরি স্বর্ণ আছে। এ ছাড়াও তার সামান্য ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র আছে। সিলেটভিউ২৪ডটকম

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়