
কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় আত্মপক্ষ
সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করেছেন বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত হন। এসময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শুনান।
পরে খালেদা প্রায় ১৫ মিনিট তার যুক্তি বিচারকের সামনে তুলে ধরে বলেন, ওইসব সাক্ষ্যে যে বক্তব্য এসেছে তা সঠিক নয়। এছাড়া তিনি সাফাই সাক্ষী হাজির করতে চান।
এদিন শুনানিতে একটি লিখিত বক্তব্যও নিয়ে এসেছিলেন খালেদা জিয়া।
দিনের শুনানি শেষে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ৮ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন। ওইদিন খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও বক্তব্য দেবেন।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে এ আদালতেই জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। খালেদার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমানও এ মামলার আসামি।
এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় এদিন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরা করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের আইনজীবীরা।
এ দুটি মামলায় এর আগে শুনানি হয় গত ২১ নভেম্বর। সেদিন খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে যায়।
আর এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন সেদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন।
সেদিনই বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলা দুটির শুনানির জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের পথে রওনা হন বলে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান।
এদিকে খালেদার হাজিরার দিন থাকায় সকাল থেকেই আদালত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এদিকে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দারের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত হন। এসময় বিচারক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ও ৩২ সাক্ষীর জবানবন্দি পড়ে শুনান।
পরে খালেদা প্রায় ১৫ মিনিট তার যুক্তি বিচারকের সামনে তুলে ধরে বলেন, ওইসব সাক্ষ্যে যে বক্তব্য এসেছে তা সঠিক নয়। এছাড়া তিনি সাফাই সাক্ষী হাজির করতে চান।
এদিন শুনানিতে একটি লিখিত বক্তব্যও নিয়ে এসেছিলেন খালেদা জিয়া।
দিনের শুনানি শেষে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ৮ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করে দেন। ওইদিন খালেদা জিয়া তার আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও বক্তব্য দেবেন।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে এ আদালতেই জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। খালেদার পাশাপাশি তার ছেলে তারেক রহমানও এ মামলার আসামি।
এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় এদিন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে জেরা করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের আইনজীবীরা।
এ দুটি মামলায় এর আগে শুনানি হয় গত ২১ নভেম্বর। সেদিন খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে যায়।
আর এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী বোরহান উদ্দিন সেদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেন।
সেদিনই বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলা দুটির শুনানির জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন।
সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় খালেদা গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে আদালতের পথে রওনা হন বলে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান।
এদিকে খালেদার হাজিরার দিন থাকায় সকাল থেকেই আদালত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুবেদ রায়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এদিকে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়