Wednesday, October 5

রাজনের পর এবার নিষ্ঠুরতা দেখলেন খাদিজা


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: চোখ বুঝলেই হয়তো এখনো অনেকের মানসপটে ভেসে ওঠে সেই বর্বরোচিত দৃশ্য। ভিডিওচিত্রে ছড়িয়ে পড়া সেই নিষ্ঠুরতম ঘটনায় এখনো হয়তো অবাক হয়ে কেউ কেউ আপনমনেই বলে ওঠেন, সজ্ঞানে এভাবে কেউ কাউকে মারতে পারে! সেই মারটা খেয়েছিল সামিউল আলম রাজন। সিলেটের ইতিহাসের অন্যতম সেই নিকৃষ্টতম ঘটনা ছুঁয়ে গিয়েছিল সব মানুষের হৃদয়কে। অশ্রুসিক্ত হয়েছিল মানুষের চোখ। উত্তাল হয়ে ওঠেছিল গোটা সিলেট। এবার দৃশ্যপটে খাদিজা। যার পুরো নাম খাদিজা বেগম নার্গিস। ভয়ঙ্কর এক অমানুষ বদরুল আলমের চাপাতির আঘাতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন খাদিজা। বাঁচবেন, নাকি রাজনের মতোই হারাবেন অজানায়- এ যেন বড় কঠিন আর ভারি এক প্রশ্ন! পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে কতো দ্রুত বাসায় ফিরবেন- এটাই হয়তো ছিল খাদিজার মনে। কিন্তু বাসায় যেতে পারেননি খাদিজা, তাকে যেতে হয়েছে হাসপাতালে, নিথর হয়ে! নিকৃষ্টতর অমানুষ বদরুল আলমের ধারালো চাপাতির নিষ্ঠুরতম আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন খাদিজা। আছেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। হায়েনারূপী ঘাতকদের নির্মম আঘাতে খুন হওয়া রাজনের সাথে একটা জায়গায় মিল আছে খাদিজার। তাদের দু’জনের বাড়িই সিলেট সদর উপজেলায়। রাজন ছিল ওই উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে। আর খাদিজা একই উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের আউশা গ্রামের মাসুক মিয়ার মেয়ে। সিলেট চাপিয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল রাজন হত্যার প্রতিবাদ। গণমানুষের চাপে এবং মানুষের সহযোগিতায় একে একে ঘাতকদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করায় প্রশাসন। রাজনের সেই ঘটনার পর এবার খাদিজাকে নির্মমভাবে চাপাতি দিয়ে আঘাতের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠছে সিলেট। নির্মম এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, এমসি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন। দেশব্যাপীই সাধারণ মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছেন বদরুল আলমকে। মানবরূপী দানব বদরুল শিক্ষার্থীদের গণপিটুনি খেয়ে আহত হয়ে পুলিশের হাতে বন্দি রয়েছে। রাজন হত্যার বিচার শেষ হয়েছিল মাত্র ১৭ কার্যদিবসে। এবার আরেক নিকৃষ্টতম ঘটনার বিচারের অপেক্ষায় গোটা সিলেট। সিলেটভিউ২৪ডটকম

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়