Saturday, October 29

বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেই বাংলাদেশির হতাশার গল্প

বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেই বাংলাদেশির হতাশার গল্প

কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মাথায় বল রাখা অবস্থায় স্কেটিং, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতরানোর মতো নানা কাজে পারদর্শী তিনি৷ গোটা বিশ্ব হতবাক তার এই অসাধারণ নৈপুণ্যে৷ সন্তুষ্ট নিজেও, তবে রয়ে গেছে হতাশা৷

৪১ বছর বয়সি আব্দুল হালিমের বাড়ি মাগুরায়৷ ছোটবেলায় হতে চেয়েছিলেন পেশাদার ফুটবলার৷ সেই চেষ্টায় কমতিও ছিল না৷ কিন্তু ফুটবলার হিসেবে সাফল্য না এলেও এসেছে অন্যত্র৷ মাথায় বল রেখে দিব্যি তিনি পারেন সাইকেল চালাতে, দৌঁড়াতে, এমনকি জুতা বদলাতেও৷ এমনকি বলের উপর দাঁড়িয়ে আরেক বল মাথায় রেখে, দুই হাতে দু'টি বল ঘোরাতেও পারেন তিনি৷ দেখে মনে হবে, বল বুঝি তার মাথায় কেউ আঠা দিয়ে আটকে দিয়েছে৷

বল মাথায় রেখে সব কাজ করার সামর্থ অবশ্য একদিনে অর্জন করেননি আব্দুল হালিম৷ বছরের পর বছর ধরে চর্চা করেছেন৷ এরপর এসেছে সাফল্য, যা ইতোমধ্যে এনে দিয়েছে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি৷ তা-ও একভাবে নয়৷ মাথায় বল নিয়ে সর্বোচ্চ পথ হাঁটার রেকর্ডের পাশাপাশি বল মাথায় রেখে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ১০০ মিটার রোলারস্কেটিংয়ের রেকর্ডও তার৷ নিজের নৈপুণ্যে বাংলাদেশকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া এই ক্রীড়াবিদের সাফল্যের কথা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের ডেইলি মেইল পত্রিকা৷

ডেইলি মেইলকে সাফল্যের কথা জানানোর পাশাপাশি হতাশার কথাও বলেছেন আব্দুল হালিম৷ তিনি মনে করেন, গিনেস বিশ্ব রেকর্ড গড়লেও স্থানীয় মানুষের কাছে তার এই বিশেষ গুণের আলাদা কোনো মূল্য তিনি পাননা৷ বল নিয়ে নানা কসরত দেখিয়ে কিছু অর্থ উপার্জন তিনি করতে পারছেন ঠিকই, কিন্তু পরিবারের চাহিদা পূরণে তা যথেষ্ট নয় বলেই মনে করেন তিনি৷

আব্দুল দুই সন্তানের পিতা৷ একটি সন্তান রোগে ভুগছে, যার চিকিৎসার জন্য দশ লাখ টাকা প্রয়োজন৷ কিন্তু সেই টাকা কোথা থেকে আসবে তিনি জানেন না৷ আব্দুলের আশা, সরকার তার সাফল্যের কথা শুনবে এবং প্রতিভার যথার্থ মূল্য দেবে৷

ডেইলি মেইলকে নিজের এক স্বপ্নের কথাও জানিয়েছেন আব্দুল হালিম৷ সুযোগ পেলে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে তাঁর ফুটবল মাথায় রাখার নৈপুণ্য দেখাতে চান তিনি৷ উপযুক্ত সহায়তা পেলে সেটা সম্ভব মনে করেন আব্দুল হালিম৷

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়