Tuesday, August 30

সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য কিছু করব: গিয়াস উদ্দিন সেলিম

সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য কিছু করব: গিয়াস উদ্দিন সেলিম
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ: মনপুরা সিনেমায় নতুন এক আবির্ভাব গিয়াস উদ্দিন সেলিমের। এর আগে মঞ্চনাটকের মতো বোদ্ধাদের শিল্পী ছিলেন। টিভি নাটক আর বিজ্ঞাপনও নির্মাণ করেছেন বিস্তর। কিন্তু মনপুরায় এসে সব পাল্টে গেল। পাল্টে গেলেন তিনিও। গিয়াস উদ্দিন সেলিম নিজস্ব ধারার সিনেমা নির্মাণের দ্বিতীয় পর্বও শেষ করতে চলেছেন। সম্প্রতি কথা হলো তার নতুন সিনেমা, চলচ্চিত্র দর্শন, জীবনবোধ শৈশব-কৈশোর নিয়ে। তার সঙ্গে আলাপ করেছেন মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ-

মনপুরার পর থেকে আপনি সিনেমার লোক হিসেবে পরিচিত বলতে গেলে। প্রথম সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা মনে আছে?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : পরিবারের সঙ্গেই সিনেমা দেখার হাতেখড়ি আমার। প্রথম সিনেমা দেখি মায়ের সঙ্গে। আমার দেখা প্রথম সিনেমা ছিল অবাক পৃথিবী। মা ও খালাদের সঙ্গে হলে গিয়ে ছবি দেখেছি। পর্দায় মানুষ আসে, কথা বলে, চলে যায়। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতাম। একবার একটি ঘটনা ঘটেছে। সিনেমায় একটি দৃশ্য ছিল এক লোককে চাকু মারা হয়ছে। সেটা দেখে আমি খুব কান্না করেছি, কেন মারল, কী জন্য মারল? এই ঘটনা আমার স্মৃতিতে নেই, পরে মা আমাকে বলেছে। তার মানে পর্দার সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া আমাদের সময়ে সিনেমা দেখার দলই ছিল।

কিশোর বয়সে সিনেমা দেখার একটা আলাদা উত্তেজনাও থাকে

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : আমার কিশোর বয়স কেটেছে ফেনী শহরে। ফেনীতে তখন চারটি সিনেমা হল ছিল। সুরতমহল, বিলাসী, দুলাল আর কানন। তখন তো বাংলা সিনেমা জমজমাট অবস্থায় ছিল। প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন সিনেমা আসত। লম্বা লাইন ধরে টিকিট কাটতে হতো। টিকিটের লাইনে আবার ব্লেড পার্টির উপদ্রব ছিল। ভিড় বেশি হলে সামনের জনকে ব্লেড মেরে এগিয়ে যেত তারা। সে এক উন্মাদনা ছিল সিনেমা নিয়ে। চট্টগ্রামের বনানী কমপ্লেক্স সিনেমা হলে লাভ ইন সিঙ্গাপুর নামে একটা সিনেমা এসেছিল এক ঈদে। আমরা দলবেঁধে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছি সেই ছবি দেখতে। ক্লাস নাইনে পড়ি তখন। দারুণ উন্মাদনা ছিল সিনেমা ঘিরে।

শৈশব-কৈশোরের সময়গুলো তাহলে বেশ আমুদে ছিল?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : শৈশবে তো নানা কিছু হতে চাইতাম। যেমন মিষ্টি পছন্দ করতাম। মনে হতো আমার বাবা মিষ্টির দোকানদার হলে সবসময় মিষ্টি খেতে পারতাম। তাই সবসময় চেয়েছি বড় হয়ে মিষ্টির দোকানদার হব। তার আগে যখন দেখতে পেতাম ফেরিওয়ালা সাইকেলে করে আইসক্রিম বিক্রি করছে। মনে মনে সাইকেলে করে আইসক্রিম বিক্রেতা হতে চাইতাম। কারণ কত মজার জিনিস, বিক্রি করা যায় আবার মন চাইলে যখন তখন খেতেও পারব। ছোটবেলার স্বপ্নগুলো ছোটই ছিল।

নির্মাতা হবেন, এমন স্বপ্ন কখন দেখতে শুরু করলেন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : এটা অনেক পরের ঘটনা। এলাকায় থিয়েটার করতাম। থিয়েটারে প্রয়োজনে নির্দেশনা দিতাম। এরপর যখন জীবন-জীবিকার সন্ধানে ঢাকা আসি তখনও থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। একসময় নাট্যকার হয়ে উঠলাম, নাটক পরিচালনা করলাম। নাটক বানাতে বানাতে মনে হলো এবার সিনেমাও বানানো যায়। কোনো স্বপ্ন ছিল না যে, আমি সিনেমা বানাব। বলা যায়, সময়ই আমাকে চলচ্চিত্র নির্মাতা বানিয়েছে।

সিনেমায় বাণিজ্যের বিষয়টিকে আপনি বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : কবিরা ২০০ কবিতা লিখে তার থেকে সেরা ২০টি প্রকাশ করতে পারেন। সেরা ২০ কবিতা দিয়ে বই বের করতে পারেন। তার বাছাই করার সুযোগ থাকে। একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার কিন্তু সে সুযোগ নেই। তিনি ২০০ ছবি বানিয়ে ভালো ১০টি মুক্তি দেবেন আর বাকিগুলো দেবেন না, সেই সুযোগ কিন্তু তার নেই। চলচ্চিত্র একটি ব্যয়বহুল বিনোদন মাধ্যম। তো সিনেমার মূল লক্ষ হলো দর্শকদের সিনেমা দেখিয়ে এটা বানাতে যে খরচ হয়েছে সেটা তুলে আনা। মূল কথা হলো দর্শককে দেখানো। এই কাজটি কিন্তু বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাই করছে। তারাই বেশিসংখ্যক দর্শকের কাছে নিয়ে যাচ্ছে চলচ্চিত্রকে। আমি বাণিজ্যিক সিনেমাই বানাতে চাই। জহির রায়হান, খান আতাউর রহমানরা যে ধরনের সিনেমা বানিয়েছেন। সেগুলো রুচিশীল মানুষের সিনেমাই ছিল। জীবন থেকে নেওয়া কি রুচিশীল মানুষের সিনেমা নয়? আমিও সেই ধরনের সিনেমা বানাতে চাই। কারণ সিনেমার লগ্নি অনেক টাকা। সে টাকা তুলতে হবে তো। দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লগ্নি করে প্রডিউসার যদি টাকা ফেরত না পান, তাহলে তিনি কেন পরে আর সিনেমা বানাবেন? শৌখিনতার জায়গা সিনেমা নয়। অবাণিজ্যিক ছবিতে দেশের উপকার হয়, কিন্তু তা দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্প টেকে না। ইন্ডাস্ট্রিকে টিকিয়ে রাখতে বাণিজ্যিক সিনেমাই দরকার।

আর আর্ট ফিল্ম বিষয়ে...

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : আমাদের এখানে বাণিজ্যিক ছবির যখন রমরমা অবস্থা। তখন আলমগীর কবিরসহ কিছু মানুষ একটু ব্যতিক্রমভাবে গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। যেটাকে আমরা মননশীল চলচ্চিত্র বলি। তারা ভাবলেন, ঢিসুম ঢিসুম মারামারি, নাচ-গান, প্রেম.. এর বাইরেও জীবনের যে একটা অংশ আছে সে কথা বলবার জন্য সিনেমা গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। সেটা তারা শর্টফিল্ম ফোরাম আন্দোলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করলেন। তারেক মাসুদ, আলমগীর কবিরসহ আরো যারা ছিলেন তারা একটি বার্তা দিলেন যে, চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয়। এটা মানুষের রুচি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে, আরো ভালো জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। এই ধারণাটা নিয়ে এসে আর্ট ফিল্মের চর্চাটা শুরু হলো।

জীবন নিয়ে কী ভাবেন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : জীবন নিয়ে আর কী ভাবব? জীবন অনেক ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার। সভ্যতা টিকে আছে আসা-যাওয়ার মধ্য দিয়ে। তবে এর ভেতরেও একটি কমিটমেন্ট থাকতে হয়। আমি আমার সমাজ ও দেশের ভালোর জন্য কিছু করব। সেটা যেকোনো মাধ্যমেই হতে পারে। আমার ছবিতে জাতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। আমি ব্যক্তিগত জীবনে জাতীয়তাবাদী চলচ্চিত্র নির্মাতা হতে চাই। সিনেমা দিয়ে বেশি কিছু করে ফেলতে পারব না। কিন্তু রুচির পরিবর্তন ও কল্যাণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারব। এটাই আসলে আমার জীবনের উদ্দেশ্য।

আপনি বেশ পড়তে ভালোবাসেন। কাদের বই বেশি পড়েন।

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : পড়ার ক্ষেত্রে আমাদের মাস্টার রাইটার মানে বাংলা সাহিত্যের মাস্টার রাইটারদের বই পড়ি। এছাড়া রাশিয়ান, ইংরেজিসহ দেশি-বিদেশি বই পড়া হয়।

মাস্টার রাইটার বলতে কাদের বোঝাচ্ছেন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : বাংলাদেশে প্রায় একশ’ মাস্টার রাইটার আছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হুমায়ূন আহমেদ। এমন যখন যা পাই পড়তে থাকি।

সর্বশেষ কোন সিনেমাটি দেখেছেন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : সর্বশেষ সিনেমা দেখলাম এইচবিওতে। রকি টু। বিশেষ কোনো কারণে নয়, সামনে পড়েছে তাই দেখা।

একটি সফল চলচ্চিত্র বলতে কী বোঝায়?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সফল চলচ্চিত্র বলতে বাংলাদেশের মানুষ দলে দলে সিনেমা হলে যাচ্ছে। সব সিট বুকড হচ্ছে। এটাই চলচ্চিত্রের সফলতা। দর্শক সিনেমার টানে দলে দলে হলে যাচ্ছে এবং বেরিয়ে এসে বন্ধুদের বলছে, এই সিনেমাটা দেখতে যাও। এটা ভালো সিনেমা। এমন ঘটনা যে সিনেমার ক্ষেত্রে ঘটবে সেটাকেই আমি সফল সিনেমা বলব।

ব্যবসায়িক চিন্তা চলচ্চিত্রের বা নির্মাতার জন্য ক্ষতিকর মনে করেন কি?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : ব্যবসা ভাবনা তো ক্ষতির কিছু হতে পারে না। ব্যবসা তো জনসেবাও? সুস্থ ব্যবসায়িক চিন্তা হলে তাতে দোষের কিছু দেখি না। কিন্তু আমি যদি সানি লিওনের শরীরে মিলির মুখ লাগিয়ে পোস্টার ছাপাই, সেটা তো প্রতারণা হবে। ব্যবসা হবে না। সৎপথে ব্যবসায় খারাপ কিছু নেই। ক্ষতিরও কিছু নেই।

জীবনের দীর্ঘসময় কেটেছে মঞ্চে, এখন আছেন চলচ্চিত্রে

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : এখন তো আর মঞ্চ বা থিয়েটারে নেই। থিয়েটারই করতে চেয়েছি। এখন সিনেমার বাইরে আর কিছু ভাবছি না। যাপিত জীবনে সিনেমাই আসলে আমাকে অধিকার দিয়েছে। এখন যা যা করি, যা যা ভাবি সবকিছুর সঙ্গে সিনেমাই চলে আসে।

একসময় অনেকেই মনে করছিল বাংলা সিনেমা শিল্প ধ্বংস হয়ে গেল। যাকে বাংলা সিনেমার অন্ধকার যুগ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটটি কেমন ছিল?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : নব্বইয়ের দশকে সিনেমার ধ্বংস শুরু হয়। এর মূল কারণ হলো দালালি পুঁজি। এই দালালি পুঁজি হলো, যারা ঠিকাদারি বা অন্যান্য ব্যবসা করত। এরশাদের সময় এদের হাতে অনেক টাকা চলে আসে। হঠাৎ করে কিছু বড়লোক জন্ম নিল। হঠাৎ করে অনেক টাকার মালিক হলে তাদের মধ্যে নতুন নতুন স্বপ্নও দেখা দেয়। তাদের স্বপ্ন হলো নায়িকাদের পাশে বসে ভাত খাওয়া। কীভাবে সে ভাত খাবে? এর জন্য সে প্রযোজক হয়ে গেল। গল্প নিল বউয়ের থেকে। অভিনয় করবে পরিবারের লোক। ছেলেমেয়ের নামে প্রযোজনা সংস্থা। পুরো ফ্যামিলিটাই রক্ষা হলো এক সিনেমার নামে। তখনকার ইন্ডাস্ট্রির যে প্রকৃত পরিচালক, তারা তো এমন ছবি বানাবে না। ধরা হলো তার প্রধান সহকারীকে। এরপর দ্বিতীয় সহকারী, তৃতীয় সহকারী.. আমি টাকা দেব তুমি সিনেমা বানাবে। এভাবে দেখা গেল, সেই সিনেমা বানানো শুরু হয়েছে। এ ধরনের সিনেমা দেখবে কে? দর্শক টানার জন্য জুড়ে দেওয়া হলো অশ্লীল দৃশ্য।

এতে ক্ষতি হলো কার?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : এতে ক্ষতি হলো দেশের, চলচ্চিত্র শিল্পের। দর্শক আশঙ্কাজনক হারে চলচ্চিত্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল। কারণ আমাদের দেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নারী দর্শক। একজন নারী দর্শক গেলে তার সঙ্গে চার-পাঁচজন দর্শক যায়। তার সঙ্গে বন্ধুরা যায়, প্রেমিক যায়, কাজিনরা যায়, জামাই যায়, দেবর যায়। অশ্লীল ছবি দেখতে তো মেয়েরা হলে যাবে না। দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিল। ফলে এখনো দর্শক টানতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন হল খালি।

শুটিংয়ের দিনের প্রস্তুতি কেমন থাকে?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : যেদিন শুটিং থাকে সেদিন তো দৌড়ের ওপর থাকি। কলটাইম থাকে ৭টায়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে গোসল, খাওয়া সেরে চলে যাই। আর দূরে শুটিং হলে তো সেখানেই থাকি।

এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : 'স্বপ্নজাল' নামে একটি সিনেমা বানাচ্ছি। সত্তরভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি দেব আশা করি।

স্বপ্নজালের গল্পটি কেমন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : এটি আমাদের দেশেরই গল্প। কয়েক বছর আগে যখন মোবাইল এত আসেনি। তখন চিঠিপত্রের চল ছিল। তখনকার গল্প। চাঁদপুর শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা প্রেমের গল্প। কিন্তু প্রেম তো আর সমাজের বাইরের নয়। তাই সমাজের কথাও আছে।

পরীমণিকে নিয়ে মূল্যায়ন কী?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : পরীমণি খুবই ডেডিগেটেড আর্টিস্ট। শুভ্রা চরিত্রটা যখন ওকে দেওয়া হলো। এর জন্য যা যা করা দরকার সব সে করেছে।

সেটি কী রকম?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : যেমন গ্রুমিং করেছে সময়মতো। তখন সে পাঁচ-ছয়টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করত। তার মাঝেও শিডিউল মেইনটেন করেছে। কত্থক নাচের কাজ ছিল। নাচের তালগুলো শিখেছে। সময়মতো সেটে গিয়েছে। যখন কাজে থাকার থেকেছে।

শিল্পী নির্বাচনের সময় কোন দিকটা খেয়াল রাখেন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : আমি স্বাভাবিক অভিনেতাদের নেওয়ার চেষ্টা করি। যে চরিত্র যাকে দেওয়া হলে সে তা করতে পারবে, তাকেই নেওয়ার চেষ্টা করি। কাজ বের করে আনার জন্য ইনস্পায়ার করি। যাকে নেওয়া হয় তাকে বলি, এই রোলে তোমার চেয়ে ভালো আর কেউ পারবে না বলেই তোমাকে নিয়েছি। এতে সে সবটুকু দিয়ে কাজ করে। কোনো চাপ থাকে না।

চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার কোনো দীর্ঘমেয়াদি ভাবনা আছে?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : ওই যে, আমার প্রতিটি সিনেমা দেখতে লোকেরা দলে দলে হলে যাবে। মজা করে দেখবে। ফিরে এসে বন্ধুদের বলবে। বন্ধু তার দলবল নিয়ে হলে যাবে।

কোন সিনেমাগুলো দেখে উৎসাহিত হয়েছেন? মুগ্ধ হয়েছেন?

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : সূর্যদীঘল বাড়ি, জীবন থেকে নেওয়া এরকম সিনেমা দেখে অনেক উৎসাহিত হয়েছি।

আপনার সময়কার সিনেমাগুলো...

গিয়াস উদ্দিন সেলিম : মেঘমল্লার, আন্ডার কনস্ট্রাকশন সিনেমা দুটি বেশ ভালো করেছে। অনিল বাগচির একদিনও ভালো লেগেছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়