নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির কেউটি হাওর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে জালাল আহমদ (৫০) নামের এক ব্যক্তি নির্মম ভাবে খুন হয়েছেন। তাকে এলোপাতাড়ী ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। তিনি কেউটি হাওর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, একটি রাস্তার কাজ নিয়ে কেউটি হাওর গ্রামের নির্মম ভাবে নিহত জালাল আহমদের সাথে একই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র কালা মিয়া ও দুদু মিয়া গংদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সম্প্রতি কালা মিয়া গংরা জালাল আহমদের পরিবারকে গ্রাম্য সালিশে একঘরী করে রাখেন। গত ১৭ জুন জালাল আহমদের ছেলে শাহীন ও ভাতিজা কামরুল গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামায পড়তে গেলে কালা মিয়া গংরা তাদের মারপিট করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। বিষয়টি স্থানীয় সালিশে নিষ্পত্তির জন্য এলাকার মুরব্বীয়ানরা উদ্যোগ গ্রহণ করলে কালা মিয়া গংরা তা প্রত্যাখান করে জালাল আহমদের উপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বিভিন্ন পায়তারায় লিপ্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় মমতাজগঞ্জ বাজার থেকে কেনাকাটা করে জালাল আহমদ ও তার পুত্র শাহীন (২২), ভাতিজা আবুল হাসনাত, কামরুল, নৌকা যোগে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় দেউছই হাওরে আসামাত্রই কালা মিয়া গংরা দু’টি ইঞ্জিন নৌকা চালিয়ে জালাল আহমদকে তুলে আনার জন্য তার নৌকার উপর হামলা করে। নৌকাটি হাওরে ডুবে গেলে জালাল আহমদের ছেলে শাহীন, ভাতিজা আবুল হাসনাত ও কামরুল সাঁতার কেটে হাওর পার হয়ে প্রাণ রক্ষা করলেও কালা মিয়া গংরা জালার আহমদকে ধরে তাদের নৌকায় তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে বান্দের আইল নামক স্থানে ফেলে রেখে যায়। পরে জালাল আহমদের আত্মীয় স্বজনরা তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জালাল আহমদের জখম গুরুতর হওয়ায় সিওমেক হাসপাতালে প্রেরনকরলে পথিমধ্যে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনার খবর পেয়ে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের পর শুক্রবার বাদ মাগরিব গ্রামের মসজিদে জানাজার নামায শেষে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে জালাল আহমদকে প্রতিপক্ষ কালা মিয়া, দুদু, আব্দুল হক, মাসুক, জাহিদ, শাহিদ, কয়ছর, চুন্নু মিয়া সহ ১০/১২ জন নৌকা থেকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করলে তিনি সিওমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এ ব্যাপারে থানায় শুক্রবার পর্যন্ত নিহতের পরিবারের কেউ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেনি। মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনীদের অবশ্যই গ্রেফতার করা হবে।
খবর বিভাগঃ
প্রতিদিনের কানাইঘাট
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়