Friday, January 15

১৩১ বছরেও জীবিত!

ফিচার ডেস্ক:

ব্রাজিলের বাসিন্দা ওয়াপ জোয়াও কোয়েলহো ডি সুজা হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ। তার বর্তমান বয়স ১৩১। যদিও গিনিস বুক অব রেকর্ডে দীর্ঘজীবী মানুষ হিসেবে ১১২ বছর বয়সী এক জাপানি নাগরিকের নাম রয়েছে। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে ফরাসি নারী জেনি কালমেন্ট মারা যাওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পান জাপানের ইয়াসুতারো কোয়েডে।
এখন ব্রাজিল দাবি করছে, তাদের নাগরিক জোয়াওই হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ। তাদের এ দাবি সত্যি হলে গিনিস বুকে থাকা ইয়াসুতারো কোয়েডের রেকর্ড বাতিল হয়ে যাবে যা গত ১৮ বছর ধরে স্বীকৃত হয়ে আসেছে। কেননা তার চাইতেও বয়সে ১৯ বছরের বড় হচ্ছেন জোয়াও।
সমাজকর্মী কেন্নেডি আফোনসোর সঙ্গে ১৩১ বছরের বৃদ্ধ
এখন জেনে নেয়া যাক জোয়াও সম্পর্কে আরো কিছু মজার মজার তথ্য। স্ত্রী, কন্যা আর এক নাতনিকে নিয়ে গড়ে ওঠেছে তার সংসার। তারা থাকেন ব্রাজিলের আক্রে রাজ্যের ইস্টিরাও ডো আলকানতারা গ্রামে। স্ত্রীর সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য প্রায় ৭০ বছর। তার স্ত্রীর বয়স মাত্র ৬২। জোয়াও তার শেষ সন্তানের মুখ দেখেছেন ৩০ বছর আগে। অর্থাৎ ১০১ বছর বয়সে তিনি বাবা হয়েছেন যা বাস্তবে অসম্ভব বলেই মনে হয়। তবে  ব্যতিক্রম বলেও তো একটা কথা আছে। তার  ছোট মেয়ের বয়স ৩০। আর তার  নাতনির বয়স ১৬। সবকিছুই কেমন গোলমেলে তাই না!
সম্প্রতি ব্রাজিলের কেন্নেডি আফোনসো  নামের এক সামাজিক কর্মী সরকারি কাজে তথ্য সংগ্রহ করার সময় ১৩১ বছর বয়সী এ মানুষটির খোঁজ পান। গত সোমবারই তিনি  নিজের ফেসবুকে জোয়াওয়ের ছবিসহ তথ্য প্রকাশ করেন। জোয়াওয়ের জন্মসনদ অনুযায়ী তার জন্ম ১৮৮৪ সালের ১০ মার্চ। আক্রে থেকে ২ হাজার মাইল দূরের মেরুওকা শহরে তার জন্ম। মাত্র ১১ বছর বয়সে তিনি শহর ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমান। 
জোয়াওয়ের ছবি আর সংবাদ দিয়েই ক্ষান্ত হননি ওই সরকারি কর্মচারী। তিনি ১৩১ বছরের জোয়াওকে বিশ্বের সবচাইতে বেশিবয়সী হিসেবে গিনিস বুক অব রেকর্ডের স্বীকৃতি আদায়ে যথাযথ প্রক্রিয়া শুরু করারও জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন। তবে জোয়াওয়ের সত্যিকার বয়স সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এ সম্পর্কে তার মেয়ে সারলিন সুজা বলেন,‘ কোনো মানুষ যে এতবছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে সেটাই কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না। তাই তার বয়স নিয়ে অনেকে সন্দেহ করছেন। কেউ কেউ আবার খুশী হয়ে আমাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’
জোয়াওয়ের সমস্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যায়নি বলেও তিনি দাবি করেছেন। এখন কেবল চূড়ান্ত রিপোর্টের অপেক্ষা।
ছয় বছর আগে স্ট্রোক হওয়ার কারণে তিনি এখন কাউকে তেমন চিনতে পারেন না। তবে এখনো নিয়মিত তিনবেলা খাওয়া দাওয়া করেন। ভাত, মাছ আর মাংস হচ্ছে তার প্রিয় খাবার। 

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়