Thursday, July 2

কানাইঘাটে তরুণের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার ॥ গ্রেফতার ৪


নিজস্ব প্রতিবেদক: নিখোঁজের ২ দিন পর বৃহস্পতিবার কানাইঘাট থানা পুলিশ জৈন্তাপুর উপজেলার ওসমান গনি নিশাত নামে ১৮ বছরের এক তরুনের জবাইকৃত ক্ষত বিক্ষত লাশ উপজেলার বড়চতুল ইউপির দুর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে ক্ষেতের মাঠ থেকে উদ্ধার করেছে। পুলিশ লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি শেষে সিলেট ওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ ৪ জন কে আটক করে বৃহস্পতিবার কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আটককৃতরা হল নিহত ওসমান গনি নিশাতের প্রতিবেশী ও বন্ধু জৈন্তাপুর উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম কান্দিগ্রামের মৃত বাবুল মালাকারের ছেলে মুকুল মালাকার (২৫), একই গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে ফখরুজ্জামান (১৯), চাক্তা গ্রামের মাওঃ সুলেমান আহমদের ছেলে রেজওয়ান আহমদ (১৯) ও কানাইঘাট উপজেলার হারাতৈল ইন্দ্রকোনা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে নজমুল ইসলাম ফয়সল (২১)। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট চতুল বাজারে মুদি ব্যবসায়ী জৈন্তাপুর উপজেলার চারিকাটা ইউপির মৃত আব্দুল জলিলের পুত্র মন্তাজ আলী ময়না (৪৫) গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার সন্তান ওসমান গনি নিশাত (১৮) কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রেখে বাড়ীতে চলে যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে ছেলেকে বাড়ীতে যেতে বলেন ব্যবসায়ী মন্তাজ আলী ময়না। কিন্তু ঐ দিন রাতে ওসমান গনি নিশাত বাড়ীতে ফিরে না গেলে তার আত্মীয় স্বজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজে তাকে না পেয়ে গত বুধবার জৈন্তাপুর মডেল থানায় ছেলে নিখোঁজের জিডি করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান ১১টার দিকে চতুল বাজার সংলগ্ন দুর্গাপুর স্কুল এন্ড কলেজের অদূরে ক্ষেতের মাঠে কেয়া বনে স্থানীয় লোকজন এক তরুনের গলা কাটা ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখে কানাইঘাট থানা পুলিশকে খবর দেন। এতে এলাকায় জানাজানি হলে নিহত ওসমান গনি নিশাতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনরা এসে সনাক্ত করেন। পরে থানার ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়। যে ৪ জনকে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে আটক করা হয়েছে তারা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে থানার ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম কানাইঘাট নিউজকে জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা ওসমান গনি নিশাতের প্রতিবেশি ও বন্ধু এবং ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে নিশাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নেশা জাতীয় দ্রব্যও পান করে তারা। তবে কি কারনে এ লৌহমর্ষক হত্যকান্ড সংঘটিত হয়েছে তা তদন্ত করে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত সবাইকে গ্রেফতর করা হবে বলে ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। আটককৃত মকুল মালাকার, রেজওয়ান, সুলেমান, নজমুল ইসলাম ফয়সলকে হত্যাকান্ডের মামলার আসামী করা হবে বলে তিনি জানান। নিহতের পিতা ব্যবসায়ী মন্তাজ আলী ময়না বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়