Friday, June 12

কিভাবে আপনি পড়াশোনা করতে USA যেতে পারেন?


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে আর ইউনিভার্সিটি সিলেক্টশান এর জন্যে আমেরিকান সেন্টার এর হেল্প নিতে হবে। USA তে উচ্চ শিক্ষায় ৫ টি ধাপ আছে, প্রত্যেকটি ধাপ বেশ সময় সাপেক্ষ, so it is best to START EARLY and CREATE A PLAN. ধাপ- ১ প্রথমে দেখুন যে বাংলাদেশে আপনার এডুকেশান ব্যাকগ্রাউন্ড কি ? কোন ডিগ্রী এর জন্যে আপনি আবেদন করতে চাচ্ছেন? Admission & Visa –র জন্যে আপনার যা যা প্রয়োজনঃ -একটি শক্তিশালী একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড, -ভাল আর্থিক সহায়তা -ভাল ইংরেজি ভাষা দক্ষতা স্নাতক প্রোগ্রাম (BSc) যেতে চাইলেঃ বাংলাদেশে আপনি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের অন্তত 12 বৎসর অথবা SSC এবং H.S.C. এর সমমানের degree থাকতে হবে । মাস্টার্স ডিগ্রী প্রোগ্রাম (MS) যেতে চাইলেঃ আপনি শিক্ষার 16 বছর বাংলাদেশে (মার্কিন স্নাতক এর সমতুল্য) করেছেন, অথবা আপনার একটি B.Sc. ডিগ্রি থাকতে হবে, অথবা একটি MBBS ডিগ্রি থাকতে হবে। ধাপ- ২ যে সব পরীক্ষার স্কোর লাগবেঃ. TOEFL ( IELTS দিয়ে-ও অ্যাপ্লাই করতে পারবেন, TOEFL দিতে-ই বলবো, কারণ বয়স্ক প্রফেসসর-রা IELTS থেকে TOEFL স্কোর টা ভালো বুঝেন) GRE ধাপ- ৩ রাইট চয়েস মেকিংঃ USA তে 4500 এর উপর কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ৪৫০০ ইউনিভার্সিটি-র প্রত্যেকটির ইন্টারনেট-সাইট সার্চ করা অসম্ভব, তবে ইউনিভার্সিটি সিলেক্টশান করার বিভিন্ন উপায় আছে: >> ইউনিভার্সিটি টি আপনার field of interest এ ভাল degree program অফার করে কি-না? (এই জন্যে ranking দেখে নিতে পারেন) >> এটা কতটা competitive? (জব মার্কেটের জন্যে) >> টিউশান ফিস কেমন? >> financial aid offer করে কি-না? >> how big is the school (physical size কিংবা student population)? >> where is it located? (লোকেশান দেখার সময় দেখবেন, অই স্টেটে In-state tuition offer করে কি-না, লিভিং cost কেমন ইত্যাদি) >> ইউনিভার্সিটি accredited কি-না? (check accreditation at http://www.chea.org) ইন্টারনেট-এ ইউনিভার্সিটি অনুসন্ধানঃ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল একটি রাঙ্কিং পাবেন। আপনি প্রতিষ্ঠানটির সাবজেক্ট, লোকেশান, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রেশিও বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্য দ্বারা অনুসন্ধান করতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে - প্রিন্সটন রিভিউ, (http://www.princetonreview.com) ধাপ -৪ ইউনিভার্সিটি সিলেক্টশান নিয়ে গবেষণা. >> ওয়েব সাইট দেখে কিংবা অন্যদের সাহায্য নিয়ে আপানি প্রথমে ১৫-২০ টি ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করে নিন। >> সেই ইউনিভার্সিটি গুলার অ্যাপ্লিকেশান রিকুয়ারমেন্টস ভালো করে দেখে নিন >> ইউনিভার্সিটি টি আপনার সাবজেক্ট এ কি রকম ফান্ড দেয় তা জেনে নিন । >> প্রফেসার দের রিসার্স প্রোফাইল দেখে নিন। >> সম্ভব হলে প্রোফেসর দের সাথে ইমেইল কন্টাক্ট করে নিন (যদি-ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রফেসর-রা তেমন একটা রিপ্লাই দেন না)। >> ওই ইউনিভার্সিটি তে কোন বাংলাদেশি আছে কি-না খুজার চেস্টা করুন (থাকলে, যোগাযোগ করে সহজে-ই ডিটেইলস গেনে নিতে পারবেন)। >> তারপর অনলাইন অ্যাপ্লিকেশান ফর্ম ফিল-আপ করে নিন। এই প্রক্রিয়া অন্তত ক্লাশ স্টার্ট ডেট এর এক বছর পূর্বে শুরু করতে হবে. অধিকাংশ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নেয়া শুরু করে আগস্ট / সেপ্টেম্বর থেকে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় এর deadline থাকে জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত। ধাপ -5 আবেদন করতে হবে. - চার থেকে ছয় স্কুলে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনের জন্যে নির্বাচন করুন সম্পূর্ণ আবেদনপত্র-পাঠান সঙ্গে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ, সরাসরি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কশিট পাঠান। নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রতিটি স্কুলের আবেদন পাঠাবার শেষ তারিখ তারিখ সম্পূর্ণ ভাবে ফলো করেছেন। প্রতিটি ইউনিভার্সিটি এর ডেডলাইন এর অন্তত ২-৩ মাস আগে আপনার অ্যাপ্লিকেশান প্যাকেজ পাঠিয়ে দিন, তাহলে সহজে ফান্ডিং পাবেন। প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র সাধারণত আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্ক শীট, টেস্ট স্কোর, সুপারিশ চিঠি, আবেদন ফি, এবং আপনার শিক্ষা এবং বসবাস খরচ দিতে যথেষ্ট টাকা আছে এর জন্যে সাপোর্টিং ডকুমেন্টস অন্তর্ভুক্ত করবেন. এই সকল ডকুমেন্টস পাঠানোর পরে সর্বোচ্চ ৬-৮ সপ্তাহের মধ্যে আপনি ইউনিভার্সিটি থেকে offer / rejection এর একটা decision পেয়ে যাবেন। অফার আক্সেপ্ট করলে ইউনিভার্সিটি আপনাকে I-20 issue করবে, এই I-20 নিয়ে আপনাকে US- embassy তে visa-র জন্যে যেতে হবে। USA তে উচ্চ-শিক্ষা সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে নিচের ব্লগ টি দেখতে পারেন। অনেক গুলা প্রয়জনীয় পোস্ট একসাথে পেয়ে যাবেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়