Monday, June 15

কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনাকাংখিত ঘটনা


নিজস্ব প্রতিবেদক: কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টোর কিপার জয়ন্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে সোমবার হাসপাতাল ঘেরাও করে তার অপসারন দাবী করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় হাসপাতালের অভ্যন্তরে আতংক ছড়িয়ে পড়লে কর্মরত স্টাফ ও রোগী এবং তাদের স্বজনরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। খবর পেয়ে একপর্যায়ে কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আসাদ উদ্দিন জানান, সোমবার বিকেল অনুমান ৩টার দিকে তিনি সহ দলের কয়েকজন নেতাকর্মী হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগীকে দেখতে যান। এ সময় হাসপাতালের ষ্টোর কিপার জয়ন্ত চক্রবর্তী একটি ঔষধের কার্টুনে ভর্তি করে হাসপাতালের সরকারী দামী ঔষধপত্র অন্যত্র বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবার সময় তারা ঘটনাটি দেখতে পেলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি জানা জানি হলে স্থানীয় ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী সহ এলাকার লোকজন হাসপাতালে জড়ো হয়ে ষ্টোর কিপার জয়ন্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবী করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় হাসপাতালে সেবা নিতে আসা লোকজনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে থানার ওসি (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ব্যাপারে হাসপাতালের ষ্টোর কিপার জয়ন্ত চক্রবর্তীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে কতিপয় লোকজন যেসব অভিযোগ এনেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো গল্প। তিনি জানান, গত রবিবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে কয়েকজন তরুণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত ডাঃ মোহাম্মদ আলীর কাছে চাঁদা দাবী করলে তিনি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তার চেম্বারে হামলা করা হয়। সেই হামলাকারীরা সোমবার অনুমান বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে হঠাৎ করে চড়াও হয়ে তার উপর হামলার চেষ্টা করে। রবিবারের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আমার বিরুদ্ধে ঔষধ চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে হাসপাতালে অরাজকতা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তারা। এ ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএচইও ডাঃ মাসুকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাসপাতালের কোন স্টাফ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারেন। কিন্তু আজকের ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনার সময় তিনি প্রশাসনিক কাজে জেলা সিবিল সার্জনের অফিসে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।  উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন আজকের হাসপাতালের ঘটনার সাথে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বিষয়টি একান্ত তাদের নিজের। ছাত্রলীগ এর দায়ভার নেবে না এবং কী কারনে এ ঘটনা ঘটেছে এ ব্যাপারে তারা অবগত নয়।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়