কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক:
আর একদিন পর পয়লা বৈশাখ। ১৪২২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। ফলে আরো একটি বাংলা নতুন বছর বরণ করে নিতে অপেক্ষায় পুরো জাতি।
এদিকে বৈশাখী আমেজে প্রস্তুত রাজধানীর রমনা বটমূল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। একেবারে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে সর্বত্র সাজসাজ রব। শেষ তুলির আঁচড়ে রাঙ্গিয়ে তোলা হচ্ছে মঙ্গল শোভাযাত্রার মোটিফগুলো।
উগ্র সাম্প্রদায়িকতার দাপট চারদিকে। তবে নতুন বছরে সে মৌলবাদী শক্তিকে গলা টিপে ধরতে প্রস্তুত এদেশের মানুষ।
পাশাপাশি মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবারও ঠাঁই পাবে পায়রা, কাকাতুয়া, মাছ, ঘোড়া, হাতি ও বাঘ। থাকবে সমৃদ্ধি আর শান্তির পথে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তার গল্প। লোকজ বাংলার সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রাটি ঘিরেই থাকে নববর্ষ উদযাপনের সমারোহ। সে যাত্রায় এবারও চলছে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি।
সব মিলে শেষ সময়ের প্রস্তুতি আর রঙয়ের বর্ণিল আভায় যেনো মাতোয়ারা চারুকলা চত্বর। বর্তমান সময়ের সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থাকবে এবারের শোভা যাত্রায়। থাকবে অন্ধকার কেটে সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির বার্তা।
মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করতে তৈরি করা হয়েছে নানা রঙয়ের মুখ ও মুখোশ। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা অনেক আলো জ্বালতে হবে মনের অন্ধকারে হয়ে উঠেছে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য।
যে আলোয় নতুন বছরে বাঙ্গালীর আবহমান জীবন খুঁজে পাবে দিশা, শুরু হবে নতুন দিনের বারতা; আর সহিংসতা মুক্ত নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন বুনে দেবে শান্তিকামী বাঙ্গালীর হৃদয়ে।
এদিকে, নববর্ষ আবাহন আর নতুন সূর্যকে সুরের মূর্ছনায় স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রমনার বটমূলও। ছায়ানটের প্রভাতি অনুষ্ঠানমালার মঞ্চ নির্মাণসহ সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন। উৎসবের নিরাপত্তা নিচ্ছিদ্র করতে নেয়া হয়েছে সর্বাত্মক উদ্যোগ।
সুর আর রঙের ছোঁয়ায় সব অশুভ কেটে এক নতুনের কেতন উড়ানোরই প্রতীক্ষা এখন।
---পরিবর্তন
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়