Saturday, April 25

পাপমুক্ত জীবনের অঙ্গীকার


ইসলাম ডেস্ক: সওয়াব অর্জনের চেয়ে গুনাহ থেকে বিরত থাকা শ্রেয়। এমনই অভিমত হলো অভিজ্ঞ ইসলামি চিন্তাবিদদের। তাদের বক্তব্য হলো, যদি মানুষ সওয়াব অর্জন করতে না পারে, তবে যেন ন্যূনতম পক্ষে গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখে। এটা তার জন্য অনেক বড় সফলতা। এভাবে চলতে থাকলে, হতে পারে এক পর্যায়ে সে ভালো কাজের প্রতি উৎসাহী হয়ে ধীরে ধীরে ভালো কাজ শুরু করবে। আমরা জানি, মানুষের কর্মপ্রেরণার অন্যতম উৎসস্থল হচ্ছে তার চিন্তা-চেতনা। এ কারণে সুস্থ মন ও চিন্তা-চেতনা মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পক্ষান্তরে অসুস্থ মন ও চিন্তাধারা মানুষকে অন্যায় ও মন্দের দিকে উসকে দেয়। আর এ কারণেই পবিত্র ধর্ম ইসলাম মন্দ ও অন্যায় বিষয়াদী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেও নিষেধ করেছে। কেননা এমন কুচিন্তার ফলে এক সময় হয়তো প্ররোচিত হতে হতে কেউ মন্দ কাজে লিপ্ত হতে পারে। এ প্রসঙ্গে জনৈক আরব কবির একটি বাণী অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। বাণীতে তিনি বলেছেন, ‘গুনাহ কিংবা অবাধ্যতার বিষয়ে অধিক চিন্তা, মানুষকে সেদিকে উসকে দিতে পারে। সুতরাং অবাধ্যতার বিষয় নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো।’ হজরত ঈসা (আ.) একবার তার শিষ্য তথা ঘনিষ্ঠ সঙ্গিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি তোমাদের প্রতি আদেশ করছি যে, ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া তো অনেক দূরের কথা; বরং তোমরা ব্যভিচারের চিন্তা থেকেও নিজেদের মন ও আত্মাকে মুক্ত রাখ। কেননা যে ব্যক্তি মনে মনে ব্যভিচারের বিষয়ে চিন্তা করে, সে ওই ব্যক্তির ন্যায়; যে একটি পরিচ্ছন্ন কক্ষে আগুন জ্বালায় এবং সে আগুনের ধোঁয়া উক্ত কক্ষকে নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন করে দেয়। যদিও উক্ত আগুনে সে ঘরের কোনো কিছু ধ্বংস নাও হয়ে থাকুক না কেন।’ সুতরাং গুনাহ কিংবা মন্দ কাজ-কর্ম নিয়ে চিন্তা-ভাবনা মানুষের আত্মা ও অন্তরকে সে কর্মের দিকে প্ররোচিত করে। আর পরিণতিতে হয়তো সে উক্ত গুনাহের দিকে ধাবিত হতে পারে। কাজেই গুনাহ কিংবা অবাধ্যতায় লিপ্ত হওয়া তো অনেক দূরের কথা; বরং এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করাও উত্তম। অন্যভাবে বলা যায় যে, সওয়াব অর্জন করতে না পারলেও গুনাহ থেকে বিরত থাকার লক্ষ্যে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করা প্রয়োজন। এতেই রয়েছে মানবজাতির জন্য প্রভূত কল্যাণ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়