Sunday, March 29

মৌসুমী জ্বর-ঠান্ডা সারাতে আনারসের জুড়ি নেই


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: আকর্ষণীয় সুগন্ধ ও অম্লমধুর স্বাদের জন্য এ ফলটি অনেকের কাছে সমাদৃত। আমাদের দেশে সাধারনত পাকা এ ফলটি খাওয়া হয়। তবে কেউ কেউ কাঁচা আনারসের চাটনি রান্না করে খেয়ে থাকেন। সারাবিশ্বে জনপ্রিয় ফলগুলোর একটি আনারস। সুদূর ব্রাজিল আনারসের জন্মভূমি। পরের গন্তব্য ছিল ইউরোপে। কলম্বাসের হাত ধরে ইউরোপে এসেছিল আনারস। সেখান থেকে পাড়ি দেয় এশিয়ার দিকে। পুষ্টিগুণে আনারস অতুলনীয়। প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসে পাওয়া যায় ৫০ কিলোক্যালরি শক্তি। এতে ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, ০.১২ গ্রাম সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১৩.১২ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি. গ্রাম ভিটামিন-২, ভিটামিন-সি ৪৭.৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০২ গ্রাম, আঁশ ১.৪ গ্রাম এবং ১.২ মিলিগ্রাম লৌহ রয়েছে। আনারস শুধু পুষ্টিগুণেই সমৃদ্ধ নয়। আছে এর বহুমুখী ঔষধিগুণ। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। যেগুলো শরীরের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, আনারসে আছে এক ধরনের অ্যানজাইম। যা প্রদাহ নাশক হিসেবে কাজ করে। আছে প্রচুর ভিটামিন আর মিনারেল। সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আনারস এক মোক্ষম অস্ত্র। জ্বরেরও খুব ভালো ওষুধ আনারস। আর আনারস হজমেও সাহায্য করে। ফলটি সুস্বাদু, রসালো, তৃপ্তিকর এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম। আঁশ ও ক্যালোরিযুক্ত কোলেস্টেরল ও চর্বিমুক্ত ফলটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জুড়ি নেই। ভিটামিন সি ভাইরাস প্রতিরোধ করে এবং গলা থেকে কফ দূর করে। ঠাণ্ডা ইনফেকশন হয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলেও আনারস খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। খনিজপদার্থ হাড়কে মজবুত করে। এক কাপ আনারসের রসে পুরো শরীরের খনিজপদাথের্র ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করতে পারে। দাঁতের মাড়ি নিয়ে যারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তারা নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতের মাড়ি সুস্থ ও মজবুত হয়। এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী উপাদান। তাই শরীরের ব্যথা দূর করার জন্য এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়