Wednesday, February 18

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেল কনোকো-ফিলিপস


ঢাকা: গভীর সমুদ্রে তিনটি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কনোকো ফিলিপস ও স্টেটঅয়েলকে দায়িত্ব দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়া কক্সবাজারে দুটি কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিতে এসব সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ৬০০-৭০০ মেগাওয়াট কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতের স্টিয়াগ (STEAG) অ্যানার্জি সার্ভিসেস কোম্পানিকে ২০ কোটি ৫০ লাখ ছয় হাজার টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়েছে। ভারতের এই কোম্পানির সঙ্গে জার্মানির স্টিয়াগ (STEAG) অ্যানার্জি সার্ভিসেস ও বাংলাদেশের বিসিএল রয়েছে। মোস্তাফিজুর জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় দুটি প্যাকেজে ৬৬ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার দুটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। স্পেনের ইপটিসর (EPTISA) সার্ভিসিয়োর সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেএস কনসালটেন্স লিমিটেড ও বিসিএল অ্যাকসেস লিমিটেডকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে কাজটি পেয়েছে। যুগ্ম-সচিব জানান, ক্লিন এয়ার ও সানটেইনেবল ইনভাইরনমেন্ট প্রকল্পে সংশোধিত একটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে, এতে ব্যয় হবে ২১ কোটি ৮১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। মালয়েশিয়ার মিন কনসাস্ট ও তাদের সহযোগী বাংলাদেশের মডার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স কোম্পানির বাস্তবায়ধীন এই প্রকল্পে আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এদিকে, দেশের গভীর সমুদ্রাঞ্চলের তিনটি (ডিএস-১২, ১৬ ও ২১) ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দায়িত্ব পেয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কনোকো ফিলিপস ও স্টেটঅয়েল। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, পেট্রবাংলা ইতোমধ্যে যৌথভাবে কনোকো ফিলিপস এশিয়া প্যাসিফিক নিউ ভেঞ্চার ও স্টেটঅয়েল এএসএ’র সঙ্গে ‘উৎপাদন বণ্টনচুক্তি (পিএসসি)’ অনুস্বাক্ষর করেছে। দেশের গভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ‘মডেল পিএসসি ২০১২ (সংশোধিত)’ অনুসরণে ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০১২’ এর আওতায় এ চুক্তি অনুস্বাক্ষর হয়। মোস্তাফিজুর জানান, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ অনুযায়ী, হোটেল অবকাশের কাঁচামাল ক্রয়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮’র আর্থিক সীমা শিথিল করাসহ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, তারা একসঙ্গে ২৫ হাজার টাকার কেনাকাটা করতে পারতো। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এ প্রস্তাব অনুমোদনের কারণে তারা নগদে ক্রয়ের ক্ষেত্রে একসঙ্গে এক লাখ টাকার ব্যয় করতে পারবে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়