Monday, December 29

শীতের মিষ্টিরোদ থেকে সাবধান


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: শীতের কনকনে ঠাণ্ডাকে সবাই ভয় পাই। তাই একটু আরামের জন্য সুযোগ পেলেই আমরা রোদে এসে একটু উত্তাপ নেয়ার চেষ্টা করি। শরীরের জন্য শীতের রোদ আরামদায়ক হলেও ত্বকের জন্য মোটেও ভালো নয়। কারণ বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতের রোদে ক্ষতিকর প্রভাব বেশি থাকে। রোদের প্রখরতা কম থাকায় শীতের রোদে সবাই একটু বেশি সময় কাটায়। ফলে শীতের রোদে ত্বকের ক্ষতিও বেশি হয়। শুধু সকালেই নয়, শীতের সময় দুপুর কিংবা বিকালেও অনেকে গায়ে রোদ লাগাতে পছন্দ করেন বা গায়ে রোদ মেখে আরাম পান। আর তাই শীতে কেউই রোদ এড়িয়ে চলতে চান না। এ সময় অনেককেই দেখা যায় রিকশার হুড না তুলে পথ চলছেন। রাস্তায় রোদের মধ্যে পথচারীদেরও পথ চলতে তেমন দ্বিধা থাকে না। শীতে এসব দৃশ্যের পেছনে কারণ একটাই, আর তা হচ্ছে শীতের মিষ্টি রোদ থেকে উষ্ণতা আহরণের আকাক্ষা। কিন্তু শীতের এই মিষ্টিরোদ কি আসলেই মিষ্টি? এই প্রশ্নের উত্তর শুনে সৌন্দর্য সচেতন ব্যক্তি নিঃসন্দেহে কিছুটা ভাবনায় পড়ে যাবেন। কারণ শীতের মিষ্টিরোদ আসলে মিষ্টি নয় বরং কিছুটা ক্ষতিকরই বলা যায়। এমনিতেই রোদ ত্বকের অন্যতম শত্রু। রোদ ত্বককে পুড়িয়ে দেয়। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতের রোদের ক্ষতিকর প্রভাব বেশি থাকে। যদিও শীতের সময় রোদের প্রখরতা কম থাকে কিন্তু বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মির পরিমাণ তখন বেশি থাকে। শীতের সময় বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকার কারণেই আলট্রাভায়োলেট রশ্মি তুলনামূলক কম জলীয়বাষ্পের বাধা অতিক্রম করে ত্বকের সংস্পর্শে পৌঁছায়। বছরের অন্যান্য সময় বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আলট্রাভায়োলেট রশ্মি জলীয় বাষ্পের বাধা অতিক্রম করে আসার ফলে তার তেজ অনেকটা কমে যায়। আর শীতে আলট্রাভায়োলেট রশ্মি অনেকটা সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আসে। তাই শীতের রোদে ত্বকের ক্ষতিও বেশি হয়। ত্বক মলিন ও গাঢ় হয়ে পড়ে। কাজেই শীতের সময় রোদের মধ্যে বেশি থাকার কারণে ত্বকের ক্ষতি আরো বেশি হয়। অন্যদিকে গরমকালে রোদের প্রখরতা বেশি থাকে বলে লোকজন এমনিতেই রোদ এড়িয়ে চলে এবং তখন রোদের আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তেজও থাকে কম। ফলে গরমকালে রোদে ঘুরলে ত্বক শীতের সময়ের চেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এই রশ্মি থেকে ত্বককে যত দূরে রাখা যাবে ততই মঙ্গল। ত্বকের সজীবতা ও হালকা বর্ণ ধরে রাখার জন্য রোদকে যতই আরামের মনে হোক না কেন, তা আসলে ত্বকের ক্ষতি করছে। অর্থাৎ সৌন্দর্যহানি ঘটাচ্ছে। কাজেই সৌন্দর্যসচেতন প্রত্যেকেই ব্যাপারটি এড়িয়ে চলতে পারেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়