ঢাকা: ভারতের গুলশান কুমার হত্যা মামলার আসামি আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্ট জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ফের আটক হয়েছেন।
ঢাকার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির পর রাতেই দাউদ মার্চেন্টকে আটক করা হয়, যিনি দুবাইভিত্তিক ভারতীয় মাফিয়া নেতা দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ট সহযোগী হিসাবে পরিচিত।
কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জ্যেষ্ঠ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, একটি মামলায় দাউদ মার্চেন্ট কারাগারে ছিলেন। গত ১৯ নভেম্বর তিনি আদালত থেকে জামিন পান এবং সেই নথিপত্র কারাগারে পৌঁছায় ২৯ নভেম্বর।
“যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেই আমরা।”
গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন বলছেন, তাদের কেউ সে সময় কারাগারের বাইরে দায়িত্বে ছিলেন না।
তবে কারাগার থেকে বের হওয়ার পরপরই ৪৫ বছর বয়সী দাউদ মার্চেন্টকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
মুম্বাইয়ের সঙ্গীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি-সিরিজের স্বত্ত্বাধিকারী গুলশান কুমার ১৯৯৭ সালের ১২ অগাস্ট আন্ধেরি এলাকার একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন ভাড়াটে খুনী দাউদ মার্চেন্টকে গ্রেপ্তারের পর ২০০২ সালে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন দাউদ।
কিন্তু ২০০৯ সালে ১৪ দিনের পারোলে মুক্তি পাওয়ার পর পালিয়ে যান তিনি। ওই বছরের ২৮ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের পুলিশ। পাসপোর্ট আইনে একটি মামলাও হয়।
সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দাউদ অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান করছিলেন। ভারতের অপরাধ জগতের আলোচিত ডন দাউদ ইব্রাহিম বাংলাদেশে নিজের কর্মকাণ্ড বিস্তারের জন্য দাউদ মার্চেন্টকে এ দেশে পাঠায়।
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়