Monday, December 8

একুশ শতকের মধ্যেই মানব প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটবে!


কানাইঘাট নিউজ ডেস্ক: মানব প্রজাতির প্রতি সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক হুমকি কী? আমরা কি প্রজাতি হিসেবে নিজেদের অপ্রত্যাশিত বিলুপ্তির মুখে দাঁড়িয়ে আছি? ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটে বিজ্ঞানী, গণিতবিদ এবং দার্শনিকদের একটি আন্তর্জাতিক টিম মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকিগুলো কী সে বিষয়ে গবেষণা করছেন। এক গবেষণাপত্রে তারা দাবি করেছেন, মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকির বিষয়টিই বৈশ্বিকভাবে সবার আগে দৃষ্টিগোচরে আসা উচিৎ। আন্তর্জাতিক নীতি-নির্ধারকদেরকেও অবশ্যই মানব প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকিগুলোর ব্যাপারে আরও গভীর মনোযোগ দিতে হবে। ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটের সুইস বংশোদ্ভুত পরিচালক নিক বোস্ট্রম বলেন, মানব প্রজাতির অস্তিত্বের বিলুপ্তির কারণ হতে পারে এমন ঝুঁকিগুলো হয়তো এখনো চুড়ান্ত রুপ ধারণ করেনি। কিন্তু যদি আমরা এখনই ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম না হই তাহলে এই শতাব্দীর মধ্যেই পৃথীবি থেকে মানব প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটতে পারে। মানব প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকিগুলো কী? একুশ শতকের মধ্যেই মানব প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটবে! প্রথমেই একটি সুখবর হল- বড় কোনও রোগ-বালাইয়ের মহামারি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রচুর প্রাণহানি ঘটলেও মানব প্রজাতির বিলুপ্তির সম্ভাবনা নেই। ড. বোস্ট্রম নামে ওই অক্সফোর্ড গবেষকদলের এক সদস্য তেমনটাই বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন। কারণ মানব প্রজাতি ইতোমধ্যেই কয়েক সহস্রাব্দব্যাপী রোগ-বালাইয়ের মহামারি, দুর্ভিক্ষ, বন্যা, অন্য প্রাণীদের আক্রমণ, সামাজিক গোষ্ঠী বা জাতিগত হানাহানি, ভুমিকম্প এবং প্রাকৃতিক পরিবেশগত বিপর্যয় মোকাবেল করে এসেছে। ফলে প্রাকৃতিক ঝুঁকিগুলো মোকাবেলা করা মানুষের জন্য এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। আর আগামী অন্তত এক শতকের মধ্যে মহাজাগতিক গ্রহাণুর প্রভাব এবং ব্যাপক পরিসরে আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরনের মাধ্যমে মানব প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকিও খুবই ক্ষীণ। এমনকি বিশ শতকে দু-দু’টি বিশ্বযুদ্ধে মানব প্রজাতি নিজেরাই নিজেদের উপর যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা এবং মহামারি আকারে স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবও বিশ্ব জনসংখ্যার উর্ধ্বগতি ঠেকাতে ব্যার্থ হয়েছে। পারমাণবিক যুদ্ধেও হয়তো মানব প্রজাতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু এরপরও মানব প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যথেষ্ট সংখ্যক মানুষ বেঁচে থাকবেন। একুশ শতকের মধ্যেই মানব প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটবে! তাহলে মানব প্রজাতির বিলুপ্তির ঝুঁকিটা কোথায়? ড. বোস্ট্রমের মতে, আমরা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এমন এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছি যার ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যা এর আগে আর কখনোই দেখা যায়নি। মানব প্রজাতির অস্তিত্বই বিলুপ্ত করে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এই প্রাযুক্তিক উৎকর্ষের। আর এ যুগের ঝুঁকি এতটাই মারাত্মক যে এর ফলে মানব প্রজাতির কোনো চিহ্নও আর অবশিষ্ট থাকবে না। নিয়ন্ত্রণহীনতা বর্তমান যুগের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষকে শিশুর হাতে ভয়াবহ মারণাস্ত্র তুলে দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এর সম্ভাব্য পরিণতিকে নিয়ন্ত্রণে আমাদের সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। সিনথেটিক বায়োলজি, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষার গন্ডি অনভিপ্রেত এবং অনির্দেশ্য এলাকায় ঢুকে পড়ছে। সিনথেটিক বায়োলজিতে সাধারণত বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজ করা হয়। বিজ্ঞানীরা এর মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় ধরনের কল্যাণ সাধনের কথা বলে থাকেন। কিন্তু ড. বোস্ট্রম হিউম্যান বায়োলজির সীমা অতিক্রমের অকল্পনীয় পরিণতি সম্পর্কে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আণবিক বা পারমাণবিক পর্যায়ের ন্যানোটেকনোলজিও যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে তা মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে আনতে পারে। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন যে, আগামী দিনের সরকারগুলো এসব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অপব্যবহার ঠেকাতেও অক্ষম হয়ে পড়তে পারে। আর কৃত্রিম বা মেশিনজাত বুদ্ধিমত্তা বাহ্যিক দুনিয়ার সঙ্গে কীভাবে পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হবে সে ব্যাপারেও অনেক আশঙ্কা রয়েছে। কম্পিউটার পরিচালিত এই ধরনের বুদ্ধিমত্তা শিল্প-কারখানা, চিকিৎসা বিজ্ঞান, কৃষি বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় শক্তিশালি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। কিন্তু এইসব প্রযুক্তি ব্যবহারের আনুষঙ্গিক ধ্বংসযজ্ঞের ব্যপারে মানুষ সম্পূর্ণতই উদাসীন হয়ে পড়তে পারে। যা পরিণতিতে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনবে। অপ্রত্যাশিত পরিণতি এসব কোনো বিমুর্ত ধারণা নয়। সিন ও’হেইগারতাইঘ নামে ওই ইনস্টিটিউটের এক প্রজনন বিজ্ঞানী স্বয়ংক্রিয় স্টক মার্কেট বাণিজ্যে ব্যবহৃত অ্যালগরিদম ব্যবহার করে একটি অ্যানালজি টেনে দেখিয়েছেন, এই গাণিতিক স্ট্রিংগুলো বাস্তব অর্থনীতি বা মানুষের উপরও ধ্বংসাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এই ধরনের কম্পিউটারাইজড সিস্টেম বাস্তব দুনিয়াকেও কব্জা করে ফেলতে পারে, বলেছেন ড. ও’হেইগারতাইগ যিনি ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজে আণবিক বিবর্তন বিষয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করেছেন। বায়োলজির দিক থেকে ঝুঁকির ব্যাপারে তিনি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জেনেটিক মোডিফিকেশনস এবং পুরোনো জেনেটিক কাঠামো ভেঙ্গে নতুন জেনেটিক কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে সেসব ব্যাপারে ব্যাপক ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা হয়তো ক্ষতিকর কিছু বানানোর চেষ্টা করছেন না। কিন্তু এরপরও সবসময়ই অপ্রত্যাশিত পরিণতির আশঙ্কা রয়েই যায় বা এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েই যায় যা ভিন্ন পরিবেশে স্থানান্তরিত হলে মারাত্মক ক্ষতির ঝুঁকিও সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা এমন সব জিনিস তৈরি করছি যা খুবই বিপজ্জনক ও মারাত্মকভাবে বিপথে পরিচালিত হতে পারে। নতুন প্রতিটি শক্তিশালি প্রযুক্তি সম্পর্কেই আমাদেরকে গভীর সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হবে যে, এ ব্যাপারে আমরা কী জানি। কিন্তু এর কোন কোন পরিণতি সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই তা জানাটা আমাদের জন্য আরও বেশি জরুরি। চেইন রিঅ্যাকশন ওই গবেষকদল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটারগুলোর উত্তোরত্তর আরও বেশি শক্তিশালি প্রজন্মের কম্পিউটার তৈরির সক্ষমতা সম্পর্কেও হুঁশিয়ারি দেন। তবে এমনটা ঘটবেনা যে, এই মেশিনগুলো হঠাৎ করেই মানুষের বিরুদ্ধাচরন করা শুরু করবে। কিন্তু রিসার্চ ফেলো ড্যানিয়েল ডিউই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক মহাবিস্ফোরণের আশঙ্কা প্রকাশ করেন। যার ফলে মানুষের পক্ষে কম্পিউটারগুলোর গতিপথ সম্পর্কে আগে থেকেই কোনো ধারণা করা এবং এর কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। মি. ডিউই বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন এক প্রযুক্তি যা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর প্যাকেজে আরও বেশি বেশি ক্ষমতা ঢুকিয়ে দেয়।’ উল্লেখ্য, ডিউই যুক্তরাষ্ট্রের মেশিন সুপার ইন্টেলিজেন্স বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যিনি একসময় গুগলেও কাজ করেছেন। তিনি বলেন, বায়োটেকনোলজি, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চেইন রিঅ্যাকশন বা ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী প্রযুক্তি। ফলে এগুলোর সমন্বয় ঘটিয়ে সামান্য রিসোর্স নিয়েই এমন সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব যা পুরো বিশ্বকেই প্রভাবিত করতে সক্ষম হবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিউচার অফ হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউটটিও এই ধরনের বড় বড় প্রশ্নে গবেষণার উদ্দেশে সৃষ্টি করা হয়েছে। অক্সফোর্ড মার্টিন স্কুল ইনস্টিটিউটটির যাত্রা শুরু করে। ওই ইনস্টিটিউটে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিশেষজ্ঞ ও একাডেমিশিয়ানদের এনে জড়ো করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য মূলত মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি সমসাময়িক বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হুমকিসমুহ মোকাবেলার উপায় উদ্ভাবন করা। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি সবচেয়ে বড় ধরনের হুমকিগুলোর ব্যাপারে গবেষণার চিন্তা-ভাবনা চলছে। ব্রিটিশ রয়াল সোসাইটির সাবেক সভাপতি জ্যোতির্বিজ্ঞানী লর্ড রিসও মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকিগুলো নিয়ে গবেষণার জন্য একটি অধ্যায়নকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। লর্ড রিস বলেন, ‘বিশ্ব ইতিহাসে চলতি শতকেই সর্বপ্রথম মানুষের দিক থেকেই মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি সবচেয়ে বড় হুমকিগুলো আসছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে দৃশ্যমান ঝুঁকিগুলো যেমন- বিমান ভ্রমণ ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়েই বেশি উদ্বিগ্ন। অথচ আরও বড় এবং মারাত্মক ঝুঁকিগুলো সম্পর্কে আমাদের এখনো নূন্যতম হুঁশও হয়নি।’ ভুল নাকি সন্ত্রাস লর্ড রিস সিনথেটিক বায়োলজি সম্পর্কেও ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি প্রযুক্তিরই উপকারী দিক যেমন রয়েছে তেমনি এর ঝুঁকিও কম নয়।’ তার মতে, কৃষি ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে কৃত্রিমভাবে নতুন নতুন অরগ্যানিজম বা প্রাণ-রাসায়নিক পদ্ধতি সৃষ্টির ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া প্রযুক্তি-নির্ভর মানব সমাজে সামাজিক সম্পর্কের বন্ধনগুলো ভেঙ্গে পড়া এবং স্থিতিস্থাপকতারও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে আমরা এখন আরো বেশি আন্তঃসম্পর্কযুক্ত বিশ্বে প্রবেশ করেছি। এখন অনেক অল্প সময়ের মধ্যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভ্রমণ করা যায়। সংবাদ এবং গুজব প্রায় আলোর গতিতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ফলে কোনও ভুল বা সন্ত্রাস (ইচ্ছাকৃত ভুল) এর ফলও হয় আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশি।’ লর্ড রিস, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দার্শনিক হু প্রাইস, অর্থনীতিবিদ স্যার পার্থ দাশ গুপ্ত এবং স্কাইপের প্রতিষ্ঠাতা জান টালিন প্রস্তাবিত সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অফ এক্সিসটেন্সিয়াল রিস্ক এ এধরনের হুমকিগুলো সম্পর্কেই গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত করতে চান। তাহলে সত্যিই কি মহাবিপর্যয় আসন্ন? এটা স্বেচ্ছা প্রণোদিত কোনও কল্প কাহিনী নয়। ড. বোস্ট্রমের মতে, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের গতি এবং তা কী সুফল ও পরিণতি বয়ে আনতে পারে সে সম্পর্কে আমাদের বোঝা-পোড়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘নৈতিক দায়বোধের দিক থেকে আমরা এখনো শৈশবে পড়ে রয়েছি। অথচ প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রে আমরা যৌবনে প্রবেশ করেছি।’ ফলে মানব প্রজাতির অস্তিত্বের প্রতি হুমকির বিষয়গুলো আম জনতার ‘রাডারে’ এখনো ধরা পড়া শুরু হয়নি।’ কিন্তু বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটেই চলেছে, আমরা এর জন্য প্রস্তুত থাকি আর নাইবা থাকি। তিনি বলেন, বিশ্ব ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি। মানুষের পরিস্থিতি আমূল পরিবর্তিত হতে চলেছে। ফলে এমনও হতে পারে- বড় ধরনের কোনো বিপর্যয়ের ফলে প্রজাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বেরই বিলুপ্তি ঘটবে। অথবা নিজেদের শরীরের উপর আরো বেশি নিয়ন্ত্রণ কায়েমের মাধ্যমে আমরা সম্পূর্ণ রুপান্তরিত হয়ে যাবো।’ ‘এটা কোনও কল্প বিজ্ঞান, ধর্মতাত্বিক অন্ধবিশ্বাস, নেশাগ্রস্ত প্রলাপ বা আষাঢ়ে স্বপ্নে দেখা কোনও গালগল্প নয়।’ এ ধরনের আশঙ্কাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় না নেওয়ার যৌক্তিক কোনও নৈতিক ভিত্তিই নেই। বিবিসিতে প্রকাশিত সিন কাউলান এর নিবন্ধ থেকে ভাষান্তরিত, মাহবুবুল আলম তারেক

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়