সৃষ্টিকর্তা আমাদের চারপাশ সাজিয়ে দিয়েছেন একাধিক ভেষজ উপাদান দিয়ে। সেসব শুধু জুহুরির চোখ দিয়ে চিনে নিয়ে পাতে রাখার দেরি। তাহলেই কিন্তু স্বাস্থ্যের হাল ফিরবেই ফিরবে। এমনই এক অত্যন্ত উপকারী ভেষজ হলো কালো তিল।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, এতে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্ব. ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, জিঙ্কের মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু উপাদান। তাই নিয়মিত এই বীজ সেবন করলে একাধিক রোগব্যাধির ফাঁদ এড়িয়ে চলতে পারবেন।
কিন্তু আমাদের অজ্ঞানতায় এই বীজ আজও ব্রাত্য। তাই স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব কালো তিলের একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর নিয়মিত সেবন করুন। তাতেই বদলে যাবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমবে
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়লে দেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো দ্রুত সেরে উঠতে পারে না। এই কারণে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ক্যানসার, হার্টের অসুখসহ একাধিক ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
ভালো খবর হলো, কালো তিলে থাকা অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিক্সিডেন্ট দেহে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রশমিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ১ চামচ কালো তিল পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিন।
বশে থাকবে হাই প্রেশার
হাই ব্লাড প্রেশার একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগকে বশে না রাখতে পারলে হার্ট, কিডনি, চোখসহ দেহের একাধিক অঙ্গের বারোটা বাজতে পারে। তাই বিপদ ঘটার আগেই প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন।
এই কাজে আপনার সঙ্গী হতে পারে কালো তিল। এতে রয়েছে এমন কিছু অত্যন্ত উপকারী উপাদান, যা রক্তনালী প্রসারিত করার কাজে সিদ্ধহস্ত। রক্তনালী প্রসারিত হলে ব্লাড প্রেশার এমনিই নিম্নমুখী হবে। সুতরাং হাইপারটেনশন রোগীরা নিয়মিত কালো তিল খান।
ক্যানসারের ফাঁড়া কাটবে
ক্যানসার হ্যাজ আ অ্যানসার। তাও এই রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে যে বিপদের শেষ থাকবে না। এমনকি শরীরের পাশাপাশি মন ও ব্যাংক ব্যালেন্সের উপরও পড়বে টান। তাই যেনতেন প্রকারেণ এই রোগ এড়িয়ে চলতে হবে।
এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে কালো তিল। এতে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে নিয়মিত এই বীজ সেবন করুন। এতেই সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
পেটের বন্ধু
অনেকেই নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো পেটের সমস্যায় ভোগেন। আপনিও কি সেই দলেরই অংশ নাকি? উত্তর হ্যাঁ হলে যত দ্রুত সম্ভব কালো তিলের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
কারণ এই তিলে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার, যা কিনা পেটের একাধিক সমস্যার সমাধান করার কাজে সিদ্ধহস্ত। বিশেষত, যাদের আইবিএস-এর মতো সমস্যা রয়েছে, তারাই বেশি উপকৃত হবেন।
স্তন্যদায়ী মায়ের জন্য উপকারী
সন্তানকে ব্রেস্টফিডিং করার সময় চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত কালো তিল খেতেই পারেন। এতে এমন কিছু ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে, যা ব্রেস্টমিল্ক প্রোডাকশন বাড়াতে পারে। এমনকি সন্তানের বিকাশ ও বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এসব উপাদান।
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়