Monday, December 8

তাকে হারিয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি


রোববার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন কিংবদন্তি অভিনেতা খলিল। তার ব্যক্তি ও অভিনয়-জীবনের কাছের মানুষ ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। সহশিল্পী ও বন্ধুর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন তিনি। দীর্ঘ সময় একসঙ্গে পথচলার কিছু স্মৃতিচারণ করেছেন আলোকিত বাংলাদেশের সঙ্গে। সেসব তুলে ধরা হলো আলাপন বিভাগে- অভিনেতা খলিলের সঙ্গে সর্বশেষ কোন ছবিতে অভিনয় করেছিলেন? ১৯৯৯ সালে আমার নির্দেশনায় 'সন্তান যখন শত্রু' ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল। এ ছবিতে শেষবারের মতো একসঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। তার সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত সম্পর্কটা কেমন ছিল? আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন খলিল। কিছু দিন আগে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তখন খলিলও অসুস্থ ছিল। কিন্তু নিজের শরীরের কথা না ভেবে সে আমাকে একনজর দেখার জন্য ছুটে এসেছিল। খলিলের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্বের শুরুটা কবে হয়েছিল? আমাদের বন্ধুত্বের শুরুটা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। মূলত মজিবুর রহমান মজনুর 'গুন্ডা ' ছবিতে অভিনয় করতে গিয়েই তার সঙ্গে প্রথম পরিচয় ঘটে। এ ছবিতে দুজন একসঙ্গে অভিনয় করেছিলাম। তারপর একসঙ্গে শতাধিক ছবিতে কাজ করেছি। তিনি যেমন গম্ভীর ছিলেন, আবার কমেডিয়ান হিসেবেও বন্ধু মহলে দারুণ সুখ্যাতি পেয়েছিলেন। তার সঙ্গে কাটানো প্রতিটি দিনই একেকটি গল্প মনে হয়। কত স্মৃতি মনের খাতায় জমা হয়ে আছে। তাকে হারিয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে দুজন অভিনয় করেছেন। এক্ষেত্রে বন্ধু হিসেবে আলাদা কোনো সুবিধা পেতেন? গল্পের কারণে কখনও একজন আরেকজনের বন্ধু, বাবা, বেয়াই কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বীও হয়েছি। কিন্তু ছবিতে যে সম্পর্কই থাকুক না কেন, আমাদের মধ্যে এক ধরনের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। যার কারণে অভিনয়ে দুজন দুজনকে বেশ ভালো করে বুঝতে পারতাম। অনন্য মোস্তফা

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়