হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। জিমেইলের মতো নিরাপদ অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়; তবে এজন্য দায়ী থাকেন ব্যবহারকারী। তার অসতর্কতা ও অসাবধানতার কারণেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়। গুগলের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৩৬ বারেরও বেশি গুগল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার হন ব্যবহারকারী। গড়ে দিনে ১ মিলিয়ন অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৯টি অ্যাকাউন্ট চুরি হয়। এটি ঘটে খুব দ্রুত। পেশাদার দুর্বৃত্তরা ব্যবহারকারীর অলস সময়ে; যেমন দুপুরে খাওয়ার সময় এ কাজ করে। চীন, আইভরিকোস্ট, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা- এ পাঁচ দেশে অপরাধীরা সক্রিয়।
জিমেইলের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তারা বিশ্বব্যাপী আক্রমণ করে থাকে। গুগলের আছে সক্রিয় স্ক্যানার, যা দিয়ে তাদের বস্নক করা যায়। আর ইমার্জেন্সি অপশন ই-মেইল ফেরত পেতে সাহায্য করে। এরপরও অপরাধীরা আবার হ্যাক করতে সক্ষম। ৩ বছরের সমীক্ষায় গুগল দেখেছে, শতকরা ৪৫ ভাগ সময় সক্রিয় স্ক্যাম সংগঠিত হয়। এ কাজে হ্যাকাররা দাফতরিক ই-মেইলের মতো লগইন ক্রিডেন্সিয়ালে রিকোয়েস্ট কিংবা হুবহু গুগল লগইন পেজের মতো কোনো পেজ পাঠায়।
ইউজার নেম পাসওয়ার্ড কাউকে ই-মেইল করা যাবে না। অ্যাড্রেস বারে ইউআরএল সঠিক কিনা, দেখে নিতে হবে। একটি ব্যাকআপ ই-মেইল অ্যাকাউন্টে সাইন আপ করে দ্রুত সেখান থেকে সরে যেতে হবে। কারণ মূল্যবান জিনিস স্ক্যান করতে হ্যাকাররা ৩ মিনিট সময় নেয়। সংবেদনশীল তথ্য সংযুক্ত ই-মেইল কাজের পর মুছে ফেলতে হবে। সাইন আপ দুই ধাপে করা উচিত। দ্বিতীয় পাসওয়ার্ডটি টেঙ্ট মেসেজের মাধ্যমে মোবাইলে পাঠানো হয়। তাই অন্য কোনো কম্পিউটার থেকে লগইন করলে জানা যায়। সেটিও মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে। -প্রযুক্তি ডেস্ক
খবর বিভাগঃ
তথ্য প্রযুক্তি

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়