Friday, October 24

কীভাবে শিরশ্ছেদ করতে হয়


কানিউজ ডেস্ক : কীভাবে শিরশ্ছেদ করতে হয়, কীভাবে চালাতে হয় নির্যাতন—জোর করে এসব দেখানো হয়। উদ্দেশ্য একটাই—শেখানো, যাতে দেখে দেখে নিখুঁতভাবে এই নৃশংস কর্মকাণ্ড রপ্ত করা যায়। এখানেই শেষ নয়। হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় একে-৪৭-এর মতো স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র, যাতে মানুষ মারার বিদ্যাটা ডালভাতের মতো সহজ হয়ে যায়। এসব ব্যবস্থা রয়েছে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসের বিদ্যালয়ে। এটি স্কুল অব জিহাদ নামে পরিচিত। অর্থাৎ, জিহাদি বিদ্যালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই জিহাদি স্কুলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আইএস তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এসব কর্মকাণ্ডের ভিডিওচিত্র ও ছবি প্রচার করছে। তাদের প্রচারিত চিত্র ও তথ্য অনুযায়ী সিরিয়া ও ইরাকে আইএস-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চালু রয়েছে এই স্কুল। শিক্ষার্থী সবাই কোমলমতি শিশু। বয়স তাদের ১০ বছরেরও কম। আইএসের তথ্য শাখা মুয়াসিসাত আল ফুরকান এসব তথ্য ও চিত্রের জোগান দিচ্ছে। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রচারিত ‘কাবস অব দ্য ইসলামিক স্টেট’ শীর্ষক ভিডিওচিত্রে এই শিশুদের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এতে আরবি ভাষায় বলা হয়, এসব শিশু তাদের বিশ্বাসে অটল এবং আইএসের কর্মকাণ্ডের প্রতি গভীরভাবে আস্থাশীল। আরেকটি ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, জিহাদি প্রশিক্ষণ শেষে সনদ নেওয়ার জন্য শিশুরা একটি মঞ্চের সামনে সার বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন পূর্ণবয়স্ক কিছু মানুষ। তাঁরা ওই শিশুদের অভিভাবক বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ আইএসের এই কর্মকাণ্ডকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে নিন্দা করেছে। আইন অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সামরিক দলে নিয়োগ ও যুদ্ধে ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়