শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর: দিনাজপুরে শীতকালীন আগাম সব্জি ফুলকপি চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে গড়ে উঠেছে ফুলকপি পল্লী। অনুকুল আবহাওয়া ও অত্যাঅধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় এবার এ অঞ্চলে শীতকালীন আগাম সব্জি ফুলকপি’র বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ফুলকপি চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে অসংখ্য কৃষকের।
দিনাজপুরের বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে এখন আগাম শীতকালীন সব্জি ফুলকপি’র সমারোহ। শীতকালীন আগাম সব্জি ফুলকপি’র পরিচর্যা ও উত্তোলনে ব্যস্ত কৃষক। গ্রামাঞ্চলের বেকার যুবকরাও সোনার হরিণ চাকরির দিকে না ঝুঁকে নেমে পরেছেন ফুলকপি চাষে। পাশাপাশি শ্রমিকদেরও সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থানের।
বীরগঞ্জ উপজেলার চৌপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক ইমরুল,মোস্তাফিজুর,রাজ্জাক ও মোতালেব জানালেন,মার্বেল,হোয়াইট ও লিনজা সহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের শীতকালীন সব্জি ফুলকপি আবাদ করেছেন তারা। এ জাতের ফুলকপি চাষ করে তারা প্রতি বিঘা জমি থেকে লাভ করছেন ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন,লাভ জনক ফসল হওয়ায় শীতকালীন আগাম এ ফুলকপি চাষে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৭’শ ৯০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সব্জি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে অনেক বেশী জমিতে। এর মধ্যে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন’শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বীরগঞ্জ উপজেলাতে হয়েছে সব চেয়ে বেশী চাষ। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক ক্ষেতেই বিক্রি করছেন ফুলকপি। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে এসব ফুলকপি কিন নিয়ে যাচ্ছেন । জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব ফুলকপি চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসমূহে।
আগাম জাতের শীতকালীন সব্জি ফুলকপি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন,এ অঞ্চলের কৃষক। কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকলে এবং এ ফুলকপি’র ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে এ অঞ্চলে ফুলকপি চাষাবাদের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদরা।
খবর বিভাগঃ
কৃষি বার্তা
ফিচার
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়