Saturday, October 11

উপহার বিনিময় সুন্নত


পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অনেকের সঙ্গে চলাফেরা করতে হয়। কারও সঙ্গে দুই কথা হয়েই যায়। কারও সঙ্গে দ্বীনের খাতিরে সম্পর্ক করতে হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সূক্ষ্ম একটি সুন্নত রয়েছে, যা আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে সুখময় করে তুলতে পারে। দূরের মানুষকে কাছে করে দিতে পারে। সুন্নতটি হলো, 'হাদিয়া প্রদান করা'। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, 'তোমরা আপসের মধ্যে হাদিয়া আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মধ্যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।' (বায়হাকি : ৬/১৬৯)। অন্যত্র হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে আরেকটি হাদিস বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, 'তোমরা একে অপরকে হাদিয়া দাও। কারণ, হাদিয়া অন্তরের হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতা দূর করে দেয়।' (তিরমিজি : ২০৫৬)। ছোট্ট ও সামান্যতম হাদিয়াও রাসূলুল্লাহ (সা.) নিঃসঙ্কোচে এবং নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতেন। বকরির পায়ের ক্ষুরও যদি কেউ কাউকে হাদিয়া দেয়, তুচ্ছ মনে করা যাবে না। সাদরে তা গ্রহণ করতে বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)। (প্রাগুক্ত) হাদিস শরিফে হজরত আনাস (রা.) থেকে একটি ঘটনা বর্ণিত আছে। হজরত বারিরা (রা.) সদকার কিছু গোশত পেয়েছিলেন। তা থেকে তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কিছুটা হাদিয়া দিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে তা গ্রহণ করলেন। সদকার বস্তু রাসূলের জন্য গ্রহণ করা বৈধ ছিল না, তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়ে বললেন, এ গোশত বারিরার জন্য তো সদকা ছিল, কিন্তু আমার জন্য তা হাদিয়া। সুতরাং তা খেতে বাধা নেই। (মুসলিম : ১৭৮৬)। সুন্নতে নববির মধ্যে এমন আরও অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে শ্রম বা বিনিময় সামান্য, কিন্তু প্রতিদান, সওয়াব এবং উপকারিতা অনেক বেশি। ছোট্ট একটি পুস্তক, একটি কলম, কিছু ফুল বা খাবার হাদিয়া দিন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে হাদিয়া বিনিময় হতে পারে। বাবা-মাকে হাদিয়া দিতে পারেন। ভাই, বন্ধু বা প্রতিবেশীকেও হাদিয়া দিতে পারেন। - মুহাম্মাদ আশরাফুল আলম

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়