নিউজ ডেস্ক : এবার নরওয়ে, সুইডেন আর জার্মানির রাস্তা অনুসরণ করতে চলেছে ডেনমার্ক। সে দেশের খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই পশুদের সঙ্গে যৌন মিলন রদ করতে বিশেষ আইন আনতে চলেছে সরকার। তাঁর মতে, এই প্রবণতার সুবাদে ইতিমধ্যে দুনিয়াময় ছড়িয়ে পড়া বদনাম ঘোচাতে সমর্থ হবে ডেনমার্ক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে ড্যানিশ খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ড্যান ইয়ারগেন্সেন জানিয়েছেন, ‘আমি ঠিক করেছি, এবার পশুদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম রুখতে আইন চালু করতে হবে। নানা কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম, পশুদের বিরুদ্ধে মানুষের এই আক্রমণ বন্ধ করার উদ্দেশ্য।’ তাঁর সংযোজন, ‘পশুরা যেহেতু অভিযোগ জানাতে পারে না, সে কারণে তারাই বেনিফিট অফ ডাউট পাবে। আর এই জন্যই আইনটি চালু করা দরকার।’
ডেনমার্কে পশুর সঙ্গে যৌন মিলনের রেওয়াজ বেশ জনপ্রিয়। এর টানে সারা বিশ্ব থেকে দলে দলে পর্যটক ভিড় জমান বছরভর। কিন্তু এতে বাধ সেধেছে পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। গত এপ্রিল মাসে বিষয়টি ভিত্তি করে তথ্যচিত্র তৈরি করে মার্কিন পত্রিকা ‘ভাইস’। ওই ছবিতে পশুদের প্রতি যৌনতায় আসক্তদের পাশাপাশি পশুপ্রেমীদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে এক পশু অধিকার আন্দোলনকারী এ ব্যাপারে সরাসরি ডেনমার্ক প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন।
এরপরই নড়েচড়ে বসে ড্যানিশ সরকার। পশু অধিকার রক্ষায় নয়া আইনটি আগামী ২০১৫ সাল থেকে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে সমর্থন জানিয়েছেন ৭৬ শতাংশ দেশবাসী।
কিন্তু এর অন্য মানে, ২৪ শতাংশ ড্যানিশ নাগরিক মানুষ ও পশুর যৌন সঙ্গম সমর্থন করেন। আসলে বহু বছর ধরে এই অভ্যাস ইউরোপে বলবত্। জানোয়ারের সঙ্গে বিবিধ যৌন খেলায় মত্ত হওয়ার জন্য উন্মুখ থাকেন বেশ বড় সংখ্যক মানুষ। এঁদের কথা ভেবে জেনমার্কে কয়েক বছর হল চালু হয়েছে ‘যৌন আবেদনপূর্ণ চিড়িয়াখানা’। এখানে মোটা দক্ষিণার বিনিময়ে লাতিন আমেরিকার উট সদৃশ জন্তু লামা ও ছাগলের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হন বহু পর্যটক।
আইন চালু করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলেও আদতের পরিবর্তন আদৌ হবে কিনা, সে প্রশ্ন তাই থেকেই যায়।
খবর বিভাগঃ
দেশের বাইরে
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়