Wednesday, September 3

আলোচনায় রাজি ইমরান-তাহির


কানিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটানোর জন্য নতুন করে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ বা পিটিআই চেয়ারম্যান এবং চলমান আন্দোলনের প্রধান নেতা ইমরান খান আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। একই অবস্থানে রয়েছেন আন্দোলনের অন্য নেতা এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিক বা পিএটি নেতা ড. তহিরুল কাদরি। রাজনৈতিক সমঝোতার এ উদ্যোগে আশার আলো দেখছে পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের জন্য দেশটির বিরোধীদলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্র্যান্ড অপজিশন জিরগা যার প্রধান হচ্ছেন জামায়াতে ইসলামির আমির সিরাজুল হক। তিনি জানিয়েছেন, আজ বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় পিটিআই এবং পিএটি’র নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সিরাজুল হক জানান, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং চলমান রাজনৈতিক সংকটে পুরো জাতি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে ইমরান খান ও তাহিরুল কাদরির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে অপজিশন জিরগা। তাদের সম্মতি নিয়েই আজ পাকিস্তান পিপলস পার্টি বা পিপিপি নেতা রেহমান মালিকের বাসায় বৈঠক বসবে। আলোচনার এ উদ্যোগ এবং ইমরান খানের সম্মতিকে সিরাজুল হক বড় সুযোগ বলে মন্তব্য করেন। এ সম্পর্কে পিপিপি সিনেটর রেহমান মালিক বলেন, ইমরান ও কাদরি আলোচনায় রাজি হয়েছেন তবে তার অর্থ এই নয় যে, তারা দুর্বল হয়ে পড়েছেন কিংবা তাদের আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে গেছেন। মালিক বলেন, এখন সৌজন্যতা দেখিয়ে সরকারের উচিত পিটিআই এবং পিএটি’র আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়া। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা দায়ের করা হেয়েছে তাও তুলে নেয়া প্রয়োজন। আজকের আলোচনা থেকে ভালো ফলাফল বেরিয়ে আসবে বলে আশা করেন রেহমান মালিক। এর আগে, গতকাল পাকিস্তানের জাতীয় সংসদে দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে বেশিরভাগ বিরোধীদল প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের প্রতি সমর্থন দিয়েছে এবং ইমরান খান ও তাহিরুল কাদরির চলমান আন্দোলনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, চলমান আন্দোলন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ধারণা করা হচ্ছে- জাতীয় সংসদের গতকালের বিশেষ অধিবেশন এবং সরকারের পক্ষে বিরোধীদলগুলোর অবস্থানের কারণে চলমান আন্দোলন নিয়ে এক ধরনের চাপে পড়েছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিয়ে যেসব জল্পনা চলছিল তাতেও ভাটা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ইমরান খান ও তাহিরুল কাদরি যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন সেজন্য এক্সিট কন্ট্রোল লিস্টে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আাদলতে আবেদন করেছেন নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগের নেতা আশরাফ গুজ্জার। ২০১৩ সালের সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তদন্ত এবং অন্তত ১০টি আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন ইমরান খান। আগস্ট মাসে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেয়ার পর সে আন্দোলন তীব্রতর হয়। এখন আন্দোলনের প্রধান দাবি হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পদত্যাগ। তবে, তিনি এ দাবি সুস্পষ্ট ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়