স্পোর্টস রিপোর্টার,ঢাকা:ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ২৪ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অনেক না জানা ঘটনা এবার জানবে ভক্তরা। বাদ যাবে না ব্যক্তি টেন্ডুলকারের জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাও। সাবেক এই ব্যাটসম্যানের আত্মজীবনী প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে যুক্তরাজ্যে বাজারে আসছে আগামী ৬ নভেম্বর। গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ও শতকের মালিক টেন্ডুলকার।
আত্মজীবনী প্রসঙ্গে ৪১ বছর বয়সী টেন্ডুলকার বলেন, জানতাম যে আমার গল্প লিখতে রাজি হওয়া মানে আমাকে পুরোপুরি সৎ হতে হবে, ঠিক যেভাবে খেলাটা সবসময় আমি খেলেছি। অনেক বিষয়ে আমাকে কথা বলতে হবে আগে যেগুলো আমি জনসমক্ষে প্রকাশ করিনি।
টেন্ডুলকার জানান, আত্মজীবনী লিখতে তিনি ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস খেলে ফিরে গেছেন ৩৫ বছর আগে, যখন প্রথমবারের মতো ক্রিকেট ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন টেস্ট ও ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান ও শতকের মালিক টেন্ডুলকার।
টেস্ট ও ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার ২০১৩ সালের নভেম্বরে তার ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি ঘোষণা করেন।
শচিনের জন্য লেখালেখি অবশ্য নতুন কিছু নয়। এ সম্পর্কে ভারতের ২০১১ সালে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বলেন, যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি তখন কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাই আমার মা-বাবা ও অঞ্জলির মতো প্রিয় মানুষদের কাছে থাকতে চিঠি লিখাই ছিল অন্যতম উপায়।
শচিনের বাবা ছিলেন মারাঠী লেখক। আবেগ অনুভূতির উন্নতির জন্য সন্তানদের তিনি লেখার পরামর্শ দিতেন। একই পথে হাঁটছেন সবচেয়ে বেশি টেস্ট ও ওয়ানডে খেলা এই খেলোয়াড়।
সন্তানদেরও লেখালেখিতে উৎসাহ দিতেন জানিয়ে শচিন বলেন, ছোটবেলায় সারা ও অর্জুন দেয়ালে হিজিবিজি লিখত। আমি ও অঞ্জলি তাদের বাধা দিতাম না।

0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়