ঢাকা : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকট, সহিংতা নিরসনে দেশি, বিদেশি চাপ ক্রমেই বাড়ছে। উল্টে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ‘একতরফা নির্বাচন আয়োজনের ছক’। চলমান সহিংসতা, আর্ন্তজাতিক চাপ আরো বাড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের আয়োজন সম্ভব হবে না বলে মনে করছে ক্ষমতাসীন মহাজোট। তখন নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা এ পরিকল্পনা করে রেখেছেন। সম্ভাব্য ওই সরকারের মূল রুপরেখা হবে ‘সর্বদলীয় সরকারেরই আদলে’।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে বিদেশি কোনো রাষ্ট্র মেনে নিচ্ছে না। এমনকি মহাজোটের ‘সবচেয়ে ভালো বিদেশি বন্ধু’ ভারতও এ বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলছে না। কূটনৈতিকরা প্রকাশ্যে না বললেও তারা যে শেখ হাসিনাকে ‘অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান’ হিসেবে সমর্থন করছেন না, এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টিও আগামী নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছে। দেশ, বিদেশের পরিস্থিতি দিনে দিনে আওয়ামী লীগের বিপরীত দিকে যাচ্ছে। যা দলটির জন্য আরো সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন অনেকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানসহ আরো দু’তিনজনের নাম আছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের তালিকায়। তবে প্রখ্যাত গবেষক, লেখক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে শেখ হাসিনার বিশেষ পছন্দ।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান। যদিও শেখ হাসিনা এখনো বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি। তবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের মুখপাত্র থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনাই থাকছেন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান।’
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন, এ নিয়ে সৃষ্ট সংকট থেকে আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কোনো ‘অপশক্তি’ ক্ষমতায় আসুক, এটা আওয়ামী লীগও চায় না। সেজন্যই দলটির বিকল্প চিন্তা করা আছে। এছাড়া একতরফা নির্বাচন আদৌ সম্ভব হবে না বলেও মনে করছে দলটি। যেমন, চারদলের জোট সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারির নির্বাচনটি করা।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে সংঘাত, সহিসংতা আগের তুলনায় বাড়ছে। এই অবস্থায় বিদেশি কূটনীতিকরা আরও সোচ্চার হয়েছেন। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পৌঁছানোর আগে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সরকারের ওপর চাপ আরো বাড়ানো হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে প্রভাবশালী দেশগুলোর রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে ঢাকা সফরে আসবেন। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবট সংকট নিরসনের চেষ্টায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।
অন্যদিকে সংকট, সহিংতা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কেও দুই নেত্রীকে শিগগিরই জানানো হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়। ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই দুই নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে। এজন্য ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয় ইউনিয়নের দূতাবাস থেকে এর মধ্যে দুই নেত্রীর কাছে সময়ও চাওয়া হয়েছে।---ডিনিউজ
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে বিদেশি কোনো রাষ্ট্র মেনে নিচ্ছে না। এমনকি মহাজোটের ‘সবচেয়ে ভালো বিদেশি বন্ধু’ ভারতও এ বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলছে না। কূটনৈতিকরা প্রকাশ্যে না বললেও তারা যে শেখ হাসিনাকে ‘অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান’ হিসেবে সমর্থন করছেন না, এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নিশ্চিত। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিএনপি। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টিও আগামী নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছে। দেশ, বিদেশের পরিস্থিতি দিনে দিনে আওয়ামী লীগের বিপরীত দিকে যাচ্ছে। যা দলটির জন্য আরো সংকটময় হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন অনেকে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানসহ আরো দু’তিনজনের নাম আছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের তালিকায়। তবে প্রখ্যাত গবেষক, লেখক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে শেখ হাসিনার বিশেষ পছন্দ।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান। যদিও শেখ হাসিনা এখনো বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনো কথা বলেননি। তবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের মুখপাত্র থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনাই থাকছেন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান।’
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন, এ নিয়ে সৃষ্ট সংকট থেকে আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। কোনো ‘অপশক্তি’ ক্ষমতায় আসুক, এটা আওয়ামী লীগও চায় না। সেজন্যই দলটির বিকল্প চিন্তা করা আছে। এছাড়া একতরফা নির্বাচন আদৌ সম্ভব হবে না বলেও মনে করছে দলটি। যেমন, চারদলের জোট সরকারের পক্ষে সম্ভব হয়নি ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারির নির্বাচনটি করা।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে সংঘাত, সহিসংতা আগের তুলনায় বাড়ছে। এই অবস্থায় বিদেশি কূটনীতিকরা আরও সোচ্চার হয়েছেন। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পৌঁছানোর আগে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সরকারের ওপর চাপ আরো বাড়ানো হচ্ছে।
এর অংশ হিসেবে প্রভাবশালী দেশগুলোর রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে ঢাকা সফরে আসবেন। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবট সংকট নিরসনের চেষ্টায় সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।
অন্যদিকে সংকট, সহিংতা বন্ধ না হলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কেও দুই নেত্রীকে শিগগিরই জানানো হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানায়। ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই দুই নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে। এজন্য ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয় ইউনিয়নের দূতাবাস থেকে এর মধ্যে দুই নেত্রীর কাছে সময়ও চাওয়া হয়েছে।---ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
রাজনীতি
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়