Saturday, October 26

ভারতে বন্যায় ৩৮ জনের প্রাণহানি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ভারতের অন্ধ্র ও উড়িষ্যা প্রদেশে টানা বৃষ্টিতে শত শত গ্রাম তলিয়ে বাড়িঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভারতে বন্যায় ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
 
 আজ শনিবার সকালে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে শুধু অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় এলাকা ছাড়াও রয়ালাসীমা ও তেলাঙ্গানাতেও তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে।
 
ভারী বর্ষণের কারণে প্রদেশটির নদ-নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে এবং পানির চাপে অনেক স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
 
বন্যার কারণে অন্ধ্র প্রদেশের শত শত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে এবং ইতোমধ্যে শ্রিকাকুলাম ও গুন্তুর জেলা থেকে ৬৭ হাজারেরও বেশি লোককে ১৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
 
বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উড়িষ্যার গ্যাঞ্জাম জেলা। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় পাইলিন আঘাত হানার সময় যে ধরনের বৃষ্টি হয়েছিল, এখন তার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এ জেলা থেকে এখন প্রর্যন্তপ্রায় ৮৫ হাজার লোককে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার দূরবর্তী শত শত গ্রামে অর্ধলক্ষাধিক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
 
আকস্মিক এ বন্যায় অন্ধ্র প্রদেশের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৮০০ কিলোমিটারের বেশি সড়কপথ।
 
প্রদেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলোতে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় ভারতের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ১২টি দল নিয়োগ করা হয়েছে।
 
ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তারা আরও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করছেন।
 
ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
 
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উড়িষ্যার প্রাদেশিক সরকার বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। বাতিল করা হয়েছে সব ট্রেনের যাত্রা।    

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়