ঢাকা : যুদ্ধাপরাধীদের ভোটার হওয়ার পথ বন্ধ করতে সংসদে উত্থাপিত বিল পাস হয়েছে। বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে পাস হওয়া এই বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইন হিসেবে কার্যকর হবে।
দন্ডপ্রাপ্তদের যারা ভোটার তালিকাভুক্ত আছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিধান করে ‘ভোটার তালিকা (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০১৩’ এবং ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত নন এরূপ নাগরিকগণকে জাতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিধান করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩’ নামে দু’টি বিল সংসদে পাস হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে বিল দু’টি পাস হয়। আইনমন্ত্রী বিল দু’টি সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে রায়ের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে পাস হওয়া মূল আইনটিতে এ সংশোধনী আনা হলো। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
ভোটার তালিকা সংশোধন মূল আইনে ভোটার তালিকভুক্ত হওয়ার যোগ্যতার ধারা ৭ এ নতুন দুটি উপধারা (ঙ) ও (চ) যুক্ত করে বলা হয়েছে- ‘(ঙ) Bangladesh Collaborators (Speacial Tribunal) Order, ১৯৭২ এর অধীনে কোন অপরাধে দন্ডিত না হইয়া থাকেন: এবং
(চ) International Crimes (tribunal) Act ১৯৭৩-এর অধীনে কোন অপরাধে দন্ডিত না হইয়া থাকেন।’
মূল আইনের ১৩ ধারা প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে- ‘ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন: নিম্নবর্ণিত যে কোনো কারণে ভোটার তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা হইতে কর্তন করিতে হইবে, যথা : ক) বাংলাদেশের নাগরিক না থাকিলে;
খ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হইলে;
গ) Bangladesh Collaborators ( Speacial Tribunal) Order, ১৯৭২-এর অধীনে কোনো অপরাধে দন্ডিত হইলে; অথবা
(ঘ) International Crimes (tribunal) Act ১৯৭৩-এর অধীনে কোনো অপরাধে দন্ডিত হইলে’।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া এবং জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় পর্যায়ের যে কোনো নির্বাচনে ভোট প্রদান একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার। এ ধরনের অধিকার প্রাপ্তি ও প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি তার আনুগত্য। যেসব নাগরিক বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস কওে না, মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতা করেছেন ও যুদ্ধাপরাধসহ গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া ও থাকা সমীচীন নয়। সে উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ সংশোধন করা প্রয়োজন। উক্ত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩
ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত নন এরূপ নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিধান এবং পরিচয়পত্রের তথ্যকে গোপনীয় ও তা বেআইনিভাবে প্রকাশকে অপরাধ গণ্য করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ পাস করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মূল আইনের ৫ ধারা প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে, ‘(১) ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুসারে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নাগরিক, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাইবার অধিকারী হইবেন।’
(২) উপধারা (১) এ যাহা কিছু্ই থাকুক না কেন, কমিশন অন্যান্য নাগরিককে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে, পরিচয়পত্র প্রদান করিতে পারিবে।’
বিলের ১৩ দফা পরিবর্তন করে বলা হয়েছে- (১) কমিশন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করিবে (২) কমিশনের নিকট সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত গোপনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৩) উপধারা (২) এ যাই কিছুই থাকুক না কেন, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কমিশনের নিকট সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত পাইবার আবেদন করিতে পারিবে এবং কমিশন উক্তরূপ চাহিত তথ্য-উপাত্ত, ভিন্নরূপ বিবেচিত না হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করিবে’।
বিলে নতুন সংযুক্ত ১৬ ক উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি তথ্য-উপাত্ত অননুমোদিতভাবে প্রকাশ করিলে বা বেআইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।’
নতুন সন্নিবিশিত ১৭ ক ধারায় বলা হয়েছে- ‘কমিশনের কোন সদস্য, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা উহার প্রতিনিধি অননুমোদিতভাবে তথ্য-উপাত্ত কোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।’--ডিনিউজ
দন্ডপ্রাপ্তদের যারা ভোটার তালিকাভুক্ত আছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিধান করে ‘ভোটার তালিকা (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০১৩’ এবং ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত নন এরূপ নাগরিকগণকে জাতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিধান করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩’ নামে দু’টি বিল সংসদে পাস হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে বিল দু’টি পাস হয়। আইনমন্ত্রী বিল দু’টি সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে জামায়াতের কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে রায়ের প্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে পাস হওয়া মূল আইনটিতে এ সংশোধনী আনা হলো। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
ভোটার তালিকা সংশোধন মূল আইনে ভোটার তালিকভুক্ত হওয়ার যোগ্যতার ধারা ৭ এ নতুন দুটি উপধারা (ঙ) ও (চ) যুক্ত করে বলা হয়েছে- ‘(ঙ) Bangladesh Collaborators (Speacial Tribunal) Order, ১৯৭২ এর অধীনে কোন অপরাধে দন্ডিত না হইয়া থাকেন: এবং
(চ) International Crimes (tribunal) Act ১৯৭৩-এর অধীনে কোন অপরাধে দন্ডিত না হইয়া থাকেন।’
মূল আইনের ১৩ ধারা প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে- ‘ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তন: নিম্নবর্ণিত যে কোনো কারণে ভোটার তালিকাভুক্ত কোনো ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা হইতে কর্তন করিতে হইবে, যথা : ক) বাংলাদেশের নাগরিক না থাকিলে;
খ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত হইলে;
গ) Bangladesh Collaborators ( Speacial Tribunal) Order, ১৯৭২-এর অধীনে কোনো অপরাধে দন্ডিত হইলে; অথবা
(ঘ) International Crimes (tribunal) Act ১৯৭৩-এর অধীনে কোনো অপরাধে দন্ডিত হইলে’।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে আইনমন্ত্রী বলেন, ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া এবং জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় পর্যায়ের যে কোনো নির্বাচনে ভোট প্রদান একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার। এ ধরনের অধিকার প্রাপ্তি ও প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি তার আনুগত্য। যেসব নাগরিক বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস কওে না, মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতা করেছেন ও যুদ্ধাপরাধসহ গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া ও থাকা সমীচীন নয়। সে উদ্দেশ্যে ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ সংশোধন করা প্রয়োজন। উক্ত উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩
ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত নন এরূপ নাগরিকগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিধান এবং পরিচয়পত্রের তথ্যকে গোপনীয় ও তা বেআইনিভাবে প্রকাশকে অপরাধ গণ্য করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ পাস করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মূল আইনের ৫ ধারা প্রতিস্থাপন করে বলা হয়েছে, ‘(১) ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ অনুসারে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত প্রত্যেক নাগরিক, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্র পাইবার অধিকারী হইবেন।’
(২) উপধারা (১) এ যাহা কিছু্ই থাকুক না কেন, কমিশন অন্যান্য নাগরিককে, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তসাপেক্ষে, পরিচয়পত্র প্রদান করিতে পারিবে।’
বিলের ১৩ দফা পরিবর্তন করে বলা হয়েছে- (১) কমিশন তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ করিবে (২) কমিশনের নিকট সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত গোপনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে।
(৩) উপধারা (২) এ যাই কিছুই থাকুক না কেন, নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কমিশনের নিকট সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত পাইবার আবেদন করিতে পারিবে এবং কমিশন উক্তরূপ চাহিত তথ্য-উপাত্ত, ভিন্নরূপ বিবেচিত না হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করিবে’।
বিলে নতুন সংযুক্ত ১৬ ক উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি তথ্য-উপাত্ত অননুমোদিতভাবে প্রকাশ করিলে বা বেআইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।’
নতুন সন্নিবিশিত ১৭ ক ধারায় বলা হয়েছে- ‘কমিশনের কোন সদস্য, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা উহার প্রতিনিধি অননুমোদিতভাবে তথ্য-উপাত্ত কোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।’--ডিনিউজ
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়