Monday, September 23

তৃতীয়বারের মতো চ্যান্সেলর হচ্ছেন মার্কেল

ঢাকা : টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যান্সেলর হচ্ছেন মার্কেল।জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে এঞ্জেলা মার্কেলের দল বিজয়ী হওয়ার পর ফের চ্যান্সেলর হচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে জার্মানির ইতিহাসে একজন নারীর তিন বার চ্যান্সেলর হওয়া একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। গতকাল রবিবার অনুষ্ঠিত জার্মানির সাধারণ নির্বাচনে চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী শিবির বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে। ৪২ শতাংশের সামান্য কম ভোট পেয়ে মার্কেলের খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী শিবির জার্মানির বৃহত্তম সংসদীয় দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান বজায় রেখেছে।প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এঞ্জেলা মার্কেল বিজয়কে দারুণ উল্লেখ করলেও ভবিষ্যৎ জোটসঙ্গী সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি।পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের ফলাফলকে ইউরো সংকটের ক্ষেত্রে মার্কেলের ব্যয় সংকোচন নীতির প্রতি জোরালো সমর্থন হিসেবে বিবেচনা করছেন।
এদিকে গতকাল রবিবারের নির্বাচনে মার্কেলের রক্ষণশীল দল জয়লাভ করলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। দেশটির ১৮তম পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন পেয়েছে ৪২ শতাংশের সামান্য কম ভোট। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দল পেয়েছে ২৬ শতাংশ ভোট। পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি পেয়েছে ৮ শতাংশ আর বাম দল পেয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ক্ষমতাসীনদের কোয়ালিশনের অন্য শরিক ফ্রি ডেমোক্রেটিক দল ৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় পার্লামেন্টে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকছে না। এর ফলে মার্কেলকে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক বা পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টির সমর্থন নিয়ে কোয়ালিশন  সরকার গঠন করতে হবে। পার্টির চেয়ারম্যান ফিলিপ রোয়েসলার একে ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টির সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

গতকাল জার্মানির ৩৪টি রাজনৈতিক দলের প্রায় সাড়ে চার হাজার প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জনগণ পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মার্কেলের ব্যক্তিগত জয় অবশ্য এসেছে ছোট শরিক দলের পরাজয়ের বিনিময়ে। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী জোটসঙ্গী উদারপন্থি এফডিপি দল মাত্র ৪.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে সংসদে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতার শীর্ষে এসে মারর্কেল আগামী দিনগুলোতে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে সামাজিক গণতন্ত্রী বা সবুজ দলের সঙ্গে জোট গড়ার উদ্যোগ নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত জার্মানির ক্ষমতাসীন দলের এই অভূতপূর্ব বিজয়ের কৃতিত্বের দাবিদার চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মারর্কেল। আট বছর আগে নির্বাচনে জিতলেও তাকে সরকার গঠনের জন্য জোট করতে হয়েছিল প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল এসপিডির সঙ্গে। এরপর গত ২০০৯ সালের নির্বাচনে মুক্ত গণতন্ত্রীদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেন। মূলত জার্মানিতে বরাবরই জোট সরকার গঠন হয়ে থাকে। তবে এবার সিডিইউ দলের বিশাল জয় প্রমাণ করলো চ্যান্সেলের হিসেবে এঞ্জেলা মার্কেলের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কারন ২০০৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় বেশি সংখ্যক নাগরিক এবার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবার ২০১৩ সালে জার্মানির ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৩০ লাখ।
ইউরোপের আর্থিক সংকট ও গ্রিসকে অর্থ সহায়তার জন্য নিজ দেশের মধ্যে মারর্কেল সমালোচিত হলেও শেষ পর্যন্ত জার্মানরা ভেবে চিন্তেই মার্কেলের ওপর ভরসা রাখলো। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাম্প্রতিক চরম অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এঞ্জেলা মার্কেল মুক্তবাজার অর্থনীতিকে সুকৌশলে সুনিয়ন্ত্রিত করেন। তবে শুধু অর্থনৈতিক সংস্কার নয় নানা সামাজিক সংস্কারও তার ভাবমূর্তি উন্নত করতে সাহায্য করেছে।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়