Tuesday, August 27

খুলনায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট


খুলনা: সাময়িক সংকট মোকাবেলায় স্থাপন করা রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টকে স্থায়ী রূপ দেয়ার কারণেই লোডশেডিং যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না খুলনাঞ্চলের মানুষকে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-বিউবো’র প্রতিষ্ঠান খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অনেকটা পঙ্গু করে সেখানে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হলেও এখন সেটি পুরোপুরি অচল। আবার আন্ত:সংযোগের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীড থেকেও এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কারণে গত ক’দিন ধরে খুলনাঞ্চলে চলছে সীমাহীন লোডশেডিং।
পদ্মার এপারের একুশ জেলা গঠিত ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সূত্রটি জানায়,  সোমবার পিক আওয়ারে এ অঞ্চলে সর্বমোট চাহিদা ছিল ৮৯৭ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ হয় ৬৪৮.৭ মেগাওয়াট। অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যায় খুলনাঞ্চলে লোডশেডিং ছিল ২৪৮.৩ মেগাওয়াট। সূত্রটি বলছে, খুলনার ১১০ ও ৬০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের পাশাপাশি রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট সোমবারও ছিল বন্ধ। রেন্টালের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চুক্তি বর্ধিত না করার ফলে তা’ বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে সূত্রটি জানায়, সরকারী প্রতিষ্ঠান ১১০ ও ৬০ মেগাওয়াটও বন্ধ রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। গত দুই বছরেও এই দু’পি পাওয়ার প্লান্ট ওভার হোলিংয়ের ব্যাপারে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বরং সরকার বেসরকারি বিদ্যুৎ প্লান্টের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কেপিসিএল ১ ও ২, নওয়াপাড়া ১ ও ২, ভেড়ামারা ১, ২ ও ৩, ভেড়ামারা রেন্টাল, বরিশাল ১ ও ২, নর্থ ওয়েষ্ট, ফরিদপুর রেন্টাল এবং গোপালগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সর্বমোট উৎপাদন ছিল ৫৯৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর আন্ত:সংযোগের মাধ্যমে জাতীয় গ্রীড থেকে দেয়া হয় মাত্র ৮৪ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে ৬৮২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হলেও চাহিদা ছিল অনেক বেশি।
এদিকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি তীব্র গরমের কারণে খুলনাঞ্চলের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব।---ডিনিউজ

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়