মৌলভীবাজার: গ্রামটির নাম বাহাদুরপুর। শাষণক্ষমতায় বাহাদুরি না থাকলেও আনারস ফলিয়ে জেলার মধ্যে ঠিকই বাহাদুরি অর্জন করেছে গ্রামটি। জুড়ী উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের পাহাড়ী টিলার বিস্তির্ণ এলাকা জুড়ে এখন পাঁকা আর আধপাঁকা আনারসের মৌ মৌ ঘ্রাণ। ছোট বড় পাহাড়ী টিলার পরতে পরতে মৌসুমী এ ফলের সোনালী আধিপত্য চোখ জুড়িয়ে দেবে যে কারো।
অনেক দিন থেকেই আনারস ফলনের এ রেওয়াজী ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন স্থানীয় চাষীরা। ’বাহাদুরপুর গ্রাম আনারসের জন্য বিখ্যাত’ এমন স্বীকৃতি এতদঞ্চলের ভোজন রসিকদের। স্থানীয়রা বাহাদুরপুর গ্রামের নামই দিয়েছেন আনারসের গ্রাম। পুরো গ্রামটিই ছোট-ছোট টিলায় বেষ্টিত। টিলার বাঁকে বাঁকে চোখ ধাধানো আনারসের বাগান আর বাগান। অবশ্য শুধু আনারসই নয় এর ফাঁকে ফাঁকে কাঁঠাল, লিচু, লটকনসহ বিভিন্নজাতের লেবু জাতীয় ফলের গাছও রয়েছে সমানতালে। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য।
স্থানীয়রা জানান, বাহাদুরপুর গ্রামে আনারসের ফলন বেশি হয়। রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় স্থানীয় এবং আশপাশের হাট-বাজারে এ আনারসের প্রচুর চাহিদা। এলাকাবাসীরা আরও জানান, দেশ স্বাধীনের অনেক আগে থেকেই বাহাদুরপুরে আনারস, কাঁঠাল ও বিভিন্ন জাতের লেবুর আবাদ হয়ে আসছে। তখন লোকজনের মধ্যে কোনো বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন এলাকার পাহাড় টিলা কেটে জনবসতি গড়ে উঠায় ফলের আবাদ কমলেও বাহাদুরপুরের চিত্রটা খুব একটা পাল্টায়নি। এখানকার আনারস বাইরের বিভিন্ন হাট-বাজারে গেলে লোকজনের নজর কাড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন এটি আবাদে আরো উদ্যোগী হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি বসতবাড়ির টিলার ভাঁজেও আনারসের আবাদ দেখা যায়। তাদের মতে, বাহাদুরপুর গ্রামে অন্তত ২০০ একর জমিতে বর্তমানে আনারসের ফলন হচ্ছে। ছোট-বড় বাগান আছে প্রায় ৭০টি। এসব বাগানে আনারস গাছের সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। মৌসুমে দু’/তিন শ’ শ্রমিক সেখানে কাজ করে। গ্রামের সবচেয়ে বড় আনারসের বাগানের মালিক ফখরুজ্জামান জানান, ১৯৬৫ সালের দিকে তার বাবা প্রায় ৩০০ বিঘা খাসজমি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে সেখানে ফলের বাগান করেন। এর মধ্যে আনারসের সংখ্যাই বেশি। প্রতিবছর ফল পাকার আগে তারা পাইকারদের কাছে বাগান বিক্রি করে দেন। আনারসচাষি মোঃ চিনু মিয়া বলেন, তাদের ৩ বিঘার বাগানে প্রায় আড়াই হাজার আনারস গাছ আছে। এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এখন মৌসুমের শেষ সময়ের বেচাকেনা চলছে। স্থানীয়রা জানান, আশপাশের কুলাউড়া, বড়লেখা, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলার ফল ব্যবসায়ীরা বাহাদুরপুর থেকে প্রতিদিন আনারস কিনে নেন।১০০ আনারস ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপজেলার প্রায় ৯০ হেক্টর জায়গায় আনারসের আবাদ হয়। এর মধ্যে বাহাদুরপুর এলাকায় বাগানের সংখ্যা বেশি। তিনি জানান, বাহাদুরপুরের আনারস ‘হানিকুইন’ জাতের। আকারে ছোট হলেও খুবই মিষ্টি। মোঃ খালেদ পারভেজ বখ্শ
(ডিনিউজ)
অনেক দিন থেকেই আনারস ফলনের এ রেওয়াজী ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন স্থানীয় চাষীরা। ’বাহাদুরপুর গ্রাম আনারসের জন্য বিখ্যাত’ এমন স্বীকৃতি এতদঞ্চলের ভোজন রসিকদের। স্থানীয়রা বাহাদুরপুর গ্রামের নামই দিয়েছেন আনারসের গ্রাম। পুরো গ্রামটিই ছোট-ছোট টিলায় বেষ্টিত। টিলার বাঁকে বাঁকে চোখ ধাধানো আনারসের বাগান আর বাগান। অবশ্য শুধু আনারসই নয় এর ফাঁকে ফাঁকে কাঁঠাল, লিচু, লটকনসহ বিভিন্নজাতের লেবু জাতীয় ফলের গাছও রয়েছে সমানতালে। এ যেন এক অন্যরকম দৃশ্য।
স্থানীয়রা জানান, বাহাদুরপুর গ্রামে আনারসের ফলন বেশি হয়। রসালো ও মিষ্টি হওয়ায় স্থানীয় এবং আশপাশের হাট-বাজারে এ আনারসের প্রচুর চাহিদা। এলাকাবাসীরা আরও জানান, দেশ স্বাধীনের অনেক আগে থেকেই বাহাদুরপুরে আনারস, কাঁঠাল ও বিভিন্ন জাতের লেবুর আবাদ হয়ে আসছে। তখন লোকজনের মধ্যে কোনো বাণিজ্যিক চিন্তাভাবনা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন এলাকার পাহাড় টিলা কেটে জনবসতি গড়ে উঠায় ফলের আবাদ কমলেও বাহাদুরপুরের চিত্রটা খুব একটা পাল্টায়নি। এখানকার আনারস বাইরের বিভিন্ন হাট-বাজারে গেলে লোকজনের নজর কাড়ে। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন এটি আবাদে আরো উদ্যোগী হয়ে ওঠে। বেশ কয়েকটি বসতবাড়ির টিলার ভাঁজেও আনারসের আবাদ দেখা যায়। তাদের মতে, বাহাদুরপুর গ্রামে অন্তত ২০০ একর জমিতে বর্তমানে আনারসের ফলন হচ্ছে। ছোট-বড় বাগান আছে প্রায় ৭০টি। এসব বাগানে আনারস গাছের সংখ্যা প্রায় সাত লাখ। মৌসুমে দু’/তিন শ’ শ্রমিক সেখানে কাজ করে। গ্রামের সবচেয়ে বড় আনারসের বাগানের মালিক ফখরুজ্জামান জানান, ১৯৬৫ সালের দিকে তার বাবা প্রায় ৩০০ বিঘা খাসজমি সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে সেখানে ফলের বাগান করেন। এর মধ্যে আনারসের সংখ্যাই বেশি। প্রতিবছর ফল পাকার আগে তারা পাইকারদের কাছে বাগান বিক্রি করে দেন। আনারসচাষি মোঃ চিনু মিয়া বলেন, তাদের ৩ বিঘার বাগানে প্রায় আড়াই হাজার আনারস গাছ আছে। এবার ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এখন মৌসুমের শেষ সময়ের বেচাকেনা চলছে। স্থানীয়রা জানান, আশপাশের কুলাউড়া, বড়লেখা, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলার ফল ব্যবসায়ীরা বাহাদুরপুর থেকে প্রতিদিন আনারস কিনে নেন।১০০ আনারস ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, উপজেলার প্রায় ৯০ হেক্টর জায়গায় আনারসের আবাদ হয়। এর মধ্যে বাহাদুরপুর এলাকায় বাগানের সংখ্যা বেশি। তিনি জানান, বাহাদুরপুরের আনারস ‘হানিকুইন’ জাতের। আকারে ছোট হলেও খুবই মিষ্টি। মোঃ খালেদ পারভেজ বখ্শ
(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
ফিচার
ফিচার পাতা
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়