ঢাকা : রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর গুলোকে কেন্দ্র করে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে বিশুদ্ধ পানির কোম্পানী। তারা কি আসলেই বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে নাকি জনগনের “আই ওয়াশ” করে বিশুদ্ধ পানির নামে বোতলে ভরে দিচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পানি। এটা বস্তুত দেখার কেউ নেই। আর এসব পানি নিয়মিত পান করলে শরীরে পুষ্টিহীনতা ও দীর্ঘ সেবনের ফলে ক্যানসার হতে পারে বলে একাধিক ডাক্তার জানান। বোতলজাত ফিল্টারের জারে যেসব পানি বিক্রি হচ্ছে তা মিনারেল কিংবা ফিল্টার করা নয়। অধিকাংশ পানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই। পানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানায়, অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের আশায় অনেক ভূঁইফোড় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মিনারেল ওয়াটার বলে তারা পানি বিক্রি করছে। ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে। কারণ মিনারেল অর্থ খনিজ। আর খনিজ অর্থ মাটির নিচ থেকে যে পানির উৎপাদন। সাধারণ ক্রেতারা বিশুদ্ধ পানি মনে করে তা পান করছে। এসব জার ও বোতলজাত ভেজাল এ পানি পান করে পেটের পীড়া, চর্মরোগ, জন্ডিস, টাইফয়েড, আমাশায়, ডায়রিয়াসহ নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। কারণ এসব পানিতে আয়রন, পিএইচ কোরিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম নেই। পানি ব্যবসায়ীরা গামছা দিয়ে ছেঁকে বা কোনো েেত্র পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে বোতলজাত করছে। কিন্তু এসব পানিতে জীবাণু থেকে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে এসব পানিতে শেওলা ও বিষাক্ত জিবানু ধরা পড়ে। পানি গাসে ঢেলে খালি চোখে ধরা পড়ে এসব শেওলা ও জিবানু।
এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর আর.কে মিশন রোডে অবস্থিত বিশুদ্ধ পানি কোম্পানী কুয়াশার প্রতি। অনুসন্ধানে জানা যায় জে.বি.এল ওয়াটার পিউরিফাইং কোঃ এর ব্যানারে “কুয়াশা” নামক পানি বোতল বাজারজাত তথা বিভিন্ন অফিস ও বাসা বাড়িতে সরবরাহ করে আসছে কিন্তু আসলেই তারা কি ভোক্তাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে নাকি ভোক্তাদের অস্বাস্থ্যকর পানি খাওয়াচ্ছে? এই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে জনগনের মাঝে। প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, গত কয়েকদিন আগে “কুয়াশা’র বোতলজাত পানি খেয়ে “দৈনিক নতুন দিন” পত্রিকার সংশ্লিষ্ট স্টাফদের মধ্যে তিনজন হঠাৎ করে আসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলে তারা সুস্থ হয়ে উঠেন। পরে কারণ অনুসন্ধানে পানির বোতলে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সাদা সাদা শ্যাওলার মত কি সব পনির ভিতর খেলা করছে। পরবর্তীতে এই ব্যপারে “দৈনিক নতুন দিন” কর্তৃপক্ষ কুয়াশা অফিসে যোগাযোগ করে কিন্তু বারবার ফোন করেও তাদের উর্ধতন কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের কারো ফোন নাম্বর পর্যন্ত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি। প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, এই কুয়াশা নামক পানি কোম্পানীটির ফ্যাক্টরি ঢাকার অদুরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত। সেখান থেকে তারা পানি বোতলজাত করে এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অফিস আদালত থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে সাপ্লাই দেয়। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোম্পানীটি বিএসটিআই’এর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নামে মাত্র পানি পিউরিফাইং করে বোতলজাত করে বাজারে ছাড়ে। আর এসব পানি খেয়ে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এক পানি বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গরমের সময়ে পানির চাহিদা অনেক বেশী থাকায় অনেক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের সাপ্লাইর পানি সরাসরি জারে করে সাপ্লাই দেওয়া হয়।
আমাদের দেশের বিএসটিআই নামক প্রতিষ্ঠানটি কোন রকম কোম্পানীর অনুমোদন দিয়ে তাদের দায়ীত্ব শেষ করছে। পরবর্তীতে আর তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। তারা কি তাদের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। নাকি তারা যাচ্ছেতাই ভাবে জনস্বাস্থ্য ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিএসটিআই সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবেন বলে আশা করে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ।(ডিনিউজ)
এমনি একটি অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর আর.কে মিশন রোডে অবস্থিত বিশুদ্ধ পানি কোম্পানী কুয়াশার প্রতি। অনুসন্ধানে জানা যায় জে.বি.এল ওয়াটার পিউরিফাইং কোঃ এর ব্যানারে “কুয়াশা” নামক পানি বোতল বাজারজাত তথা বিভিন্ন অফিস ও বাসা বাড়িতে সরবরাহ করে আসছে কিন্তু আসলেই তারা কি ভোক্তাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে নাকি ভোক্তাদের অস্বাস্থ্যকর পানি খাওয়াচ্ছে? এই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে জনগনের মাঝে। প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায়, গত কয়েকদিন আগে “কুয়াশা’র বোতলজাত পানি খেয়ে “দৈনিক নতুন দিন” পত্রিকার সংশ্লিষ্ট স্টাফদের মধ্যে তিনজন হঠাৎ করে আসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলে তারা সুস্থ হয়ে উঠেন। পরে কারণ অনুসন্ধানে পানির বোতলে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, সাদা সাদা শ্যাওলার মত কি সব পনির ভিতর খেলা করছে। পরবর্তীতে এই ব্যপারে “দৈনিক নতুন দিন” কর্তৃপক্ষ কুয়াশা অফিসে যোগাযোগ করে কিন্তু বারবার ফোন করেও তাদের উর্ধতন কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি তাদের কারো ফোন নাম্বর পর্যন্ত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি। প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, এই কুয়াশা নামক পানি কোম্পানীটির ফ্যাক্টরি ঢাকার অদুরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থিত। সেখান থেকে তারা পানি বোতলজাত করে এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অফিস আদালত থেকে শুরু করে বাসা বাড়িতে সাপ্লাই দেয়। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোম্পানীটি বিএসটিআই’এর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নামে মাত্র পানি পিউরিফাইং করে বোতলজাত করে বাজারে ছাড়ে। আর এসব পানি খেয়ে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। এক পানি বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গরমের সময়ে পানির চাহিদা অনেক বেশী থাকায় অনেক সময়ে সিটি কর্পোরেশনের সাপ্লাইর পানি সরাসরি জারে করে সাপ্লাই দেওয়া হয়।
আমাদের দেশের বিএসটিআই নামক প্রতিষ্ঠানটি কোন রকম কোম্পানীর অনুমোদন দিয়ে তাদের দায়ীত্ব শেষ করছে। পরবর্তীতে আর তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেনা। তারা কি তাদের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। নাকি তারা যাচ্ছেতাই ভাবে জনস্বাস্থ্য ঠেলে দিচ্ছে হুমকির মুখে। আগামীতে এসব বিষয়ে বিএসটিআই সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবেন বলে আশা করে দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ।(ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
বিশেষ খবর
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়