নরসিংদী: বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য নরসিংদী জেলা শহরে অবস্থিত নরসিংদী রেলস্টেশনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কর্তৃপক্ষ এই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। বিগত ১শত বছরের ইতিহাসে স্বাধীনতাউত্তরকালে এ নিয়ে নরসিংদী রেলস্টেশনের বিদ্যুৎ সংযোগ দুইবার বিচ্ছিন্ন করা হলো।
জানা গেছে, নরসিংদী রেলস্টেশনটি বর্তমানে একটি মৃত প্রায় রেলস্টেশন। কোন সিগন্যালিং ব্যবস্থা কার্যকর নেই। ২০১১ সালে ১ নভেম্বর নরসিংদী পৌর মেয়র লোকজন হোসেন হত্যাকান্ডের পর উত্তেজিত জনতা স্টেশনটি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে সিগন্যালিং এবং ট্রেন নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা অচল করে দেয়। সে থেকে বিগত দেড় বছর যাবত স্টেশনটির টিকিট বিক্রির কার্যক্রম ছাড়া সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের পর পূর্ববর্তী স্টেশন মাস্টারকে বদলী করে নুরুল ইসলাম নামে একজন স্টেশন মাস্টারকে নিয়োগ দান করা হলেও তাকে কোন দিন স্টেশনে দেখা যায়নি। প্রতিদিনই তার কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকে। রেলওয়ে একজন কর্মচারী বলেছেন, স্টেশনের অনেক কর্মচারীও তাকে চিনে না। এই সুযোগে স্টেশনের পুরো নিয়ন্ত্রন এখন জিআরপি পুলিশ এবং কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর হাতে। জিআরপি পুলিশ স্টেশনটিকে বাজার হিসেবে হকারদের কাছে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। সাথে সাথে এই স্টেশনের বিদ্যুৎ লাইন থেকেই হকারদেরকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে জিআরপি পুলিশ। এই বিদ্যুতের টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে জিআরপি পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্টেশন মাস্টার। এভাবে বিদ্যুৎ চুরির কারনে গত ৭/৮ মাসে স্টেশনের বিদ্যুৎ বিল দাড়িয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। এ অবস্থায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাধ্য হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যার ফলে স্টেশনে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রী সেবার মাইক সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে, ওয়েটিং রুমের ফ্যান ও বাতি বন্ধ হয়ে গেছে, সারা স্টেশন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অন্ধকার প্রেতপূরীতে পরিনত হয়েছে। এদিকে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রেল যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন যাত্রীরা বলছে এই স্টেশন লাইন দিয়ে রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা চলাফেরা করছেন। তারা প্রতিদিনই স্টেশন প্লাটফরমকে একটি হকার মার্কেট হিসেবে দেখছেন। এরপরও রেল কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। হকারদের দোকানের কারনে নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রীদের দাড়ানোর জায়গাও নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, “ বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তো কি হয়েছে? আবার সংযোগ দিয়ে দেবে। বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য লোক লাগানো হয়েছে।” কেন বিচ্ছিন্ন করা হলো জানার চেষ্টা করলে ইতস্ততঃভাবে তিনি জানান, ১৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। কত দিনের বকেয়া রয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৭/৮ মাস হবে হয়তো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়নি। (ডিনিউজ)
জানা গেছে, নরসিংদী রেলস্টেশনটি বর্তমানে একটি মৃত প্রায় রেলস্টেশন। কোন সিগন্যালিং ব্যবস্থা কার্যকর নেই। ২০১১ সালে ১ নভেম্বর নরসিংদী পৌর মেয়র লোকজন হোসেন হত্যাকান্ডের পর উত্তেজিত জনতা স্টেশনটি ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে সিগন্যালিং এবং ট্রেন নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা অচল করে দেয়। সে থেকে বিগত দেড় বছর যাবত স্টেশনটির টিকিট বিক্রির কার্যক্রম ছাড়া সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞের পর পূর্ববর্তী স্টেশন মাস্টারকে বদলী করে নুরুল ইসলাম নামে একজন স্টেশন মাস্টারকে নিয়োগ দান করা হলেও তাকে কোন দিন স্টেশনে দেখা যায়নি। প্রতিদিনই তার কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকে। রেলওয়ে একজন কর্মচারী বলেছেন, স্টেশনের অনেক কর্মচারীও তাকে চিনে না। এই সুযোগে স্টেশনের পুরো নিয়ন্ত্রন এখন জিআরপি পুলিশ এবং কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর হাতে। জিআরপি পুলিশ স্টেশনটিকে বাজার হিসেবে হকারদের কাছে ভাড়া দিয়ে দিয়েছে। সাথে সাথে এই স্টেশনের বিদ্যুৎ লাইন থেকেই হকারদেরকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে জিআরপি পুলিশ। এই বিদ্যুতের টাকাও হাতিয়ে নিচ্ছে জিআরপি পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্টেশন মাস্টার। এভাবে বিদ্যুৎ চুরির কারনে গত ৭/৮ মাসে স্টেশনের বিদ্যুৎ বিল দাড়িয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। এ অবস্থায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বাধ্য হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। যার ফলে স্টেশনে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রী সেবার মাইক সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে, ওয়েটিং রুমের ফ্যান ও বাতি বন্ধ হয়ে গেছে, সারা স্টেশন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অন্ধকার প্রেতপূরীতে পরিনত হয়েছে। এদিকে বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রেল যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন যাত্রীরা বলছে এই স্টেশন লাইন দিয়ে রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা চলাফেরা করছেন। তারা প্রতিদিনই স্টেশন প্লাটফরমকে একটি হকার মার্কেট হিসেবে দেখছেন। এরপরও রেল কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন না। হকারদের দোকানের কারনে নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রীদের দাড়ানোর জায়গাও নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদেরকে বলেন, “ বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তো কি হয়েছে? আবার সংযোগ দিয়ে দেবে। বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য লোক লাগানো হয়েছে।” কেন বিচ্ছিন্ন করা হলো জানার চেষ্টা করলে ইতস্ততঃভাবে তিনি জানান, ১৬ লাখ টাকার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে। কত দিনের বকেয়া রয়েছে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ৭/৮ মাস হবে হয়তো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়নি। (ডিনিউজ)
খবর বিভাগঃ
সারাদেশ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়