মোঃ রিয়াছাদ আলী; কয়রা, খুলনা) : খুলনার কয়রা উপজেলার গাজীপাড়া গ্রামের দিন মজুর আযূব শেখ পেশায় একজন দিনমজুর। গ্রামের পাশে শাকবাড়িয়া নদীতে মাছের রেনু ধরে, মানুষের বাড়িতে দিনমজুরি খেটে কোন রকমে সংসার চলতো। ২০০৯ সালের প্রলয়ংকরি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইলার পর এলাকায় কর্ম সংস্থানের কোন সুযোগ না থাকায় এক রকম না খেয়েই দিন কাটতো তার। বাঁধ ভেঙে নদীর লোনা পানি প্রবেশের ফলে কৃষি জমিতে লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় কোন ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছিলো না। ফসল ফলানোর চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে, হাজার হাজার বিঘা জমি বছর জুড়ে ফসলহীন অবস্থায় ফেলে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি সহ স্থানীয় কৃষকরা। এ অবস্থায় বেসরকারি সংস্থা জেজেএস ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে কনসার্নের সহযোগীতায়, এলাকার কৃষকদের অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে পরিবর্তন প্রকল্পের মাধ্যমে লবনাক্ত জমিতে সহনসীল ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করেন।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক আযূব আলী শেখ স্থানীয় একজন জমি মালিকের কাছ থেকে তিন বিঘা জমি লীজ নিয়ে সেখানে লবন সহিষ্ণু ধান, সেই সাথে মাছ, জমির আইলে সবজি উৎপাদন শুরু করেন। এ জন্য তাকে প্রকল্পের সমন্বয়কের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারিগরী সহযোগীতা সহ ধানের বীজ, সবজির বীজ, মাছ এবং ঝড় সহনসীল গাছের চারা সরবরাহ করা হয়। আয়ুব আলী শেখ বলেন, নিজের জমি জায়গা নেই। দিনভর কাজের আশায় লোকের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতাম। এখন সংস্থার সহযোগীতায় নিজে স্বাবলম্বী হতি পারিছি এতেই খুশি। আয়ুব আলীর তিন বিঘা জমির কৃষি খামার ঘুরে দেখা গেছে, চার দিকে মাটির আইল দিয়ে তার মধ্যে মাছ চাষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডাঙ্গা জমিতে ব্রী-২৮, বীনা-৮ জাতের লবন সহিষ্ণু ধান লাগিয়ে বিঘা প্রতি ২১ মন ধান পেয়েছেন। সেই সাথে বাগদা, গলদা, ভেটকি, রুই, কাতল চাষ করে এ বছর খরচ বাদে তার ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তাছাড়া জমির আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ আরো বাড়তি সাত হাজার টাকা আয় হয়েছে তার। সে তার কম্পোজিট পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ সদস্যের সংসারে যাবতীয় খরচ বাদে এখন কিছু টাকা জমাতে পেরেছেন।
দিন মজুর আয়ুব আলী শেখের সফলতায় তার দেখাদেখি ওই গ্রামে এখন অনেক কৃষক তাদের লবনাক্ত জমিতে এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। গাজী পাড়া গ্রামের কৃষক অনীল মন্ডল বলেন, " আয়ুব শেখ আমাগের চোখ খুলে দেছে। আমরা এখন তার মতো করে সবজী, ধান, মাছ এক সাথে লাগানোর কথা ভাবতিছি। " পরিবর্তনের কয়রা উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুর রব রায়হান জানান, তাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার গাজীপাড়া সহ ৫ নম্বর কয়রা, অন্তাবুনিয়া, ২ নম্বর কয়রা, পূর্ব মহারাজপুর গ্রামে হতদরিদ্র কৃষকদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। জেজেএসের প্রকল্প সমন্বয়কারি জিয়া আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যায়ে বিপর্যস্ত কয়রা এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকদের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার কৃষি ও পরিবেশের উপর প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি। কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, কয়রা উপজেলার জন্য এ ধরনের আরো প্রকল্প গ্রহন করা দরকার। এতে বিপর্যস্ত কৃষি প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করেন তিনি।(
ফেয়ার নিউজ)
এ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষক আযূব আলী শেখ স্থানীয় একজন জমি মালিকের কাছ থেকে তিন বিঘা জমি লীজ নিয়ে সেখানে লবন সহিষ্ণু ধান, সেই সাথে মাছ, জমির আইলে সবজি উৎপাদন শুরু করেন। এ জন্য তাকে প্রকল্পের সমন্বয়কের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারিগরী সহযোগীতা সহ ধানের বীজ, সবজির বীজ, মাছ এবং ঝড় সহনসীল গাছের চারা সরবরাহ করা হয়। আয়ুব আলী শেখ বলেন, নিজের জমি জায়গা নেই। দিনভর কাজের আশায় লোকের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতাম। এখন সংস্থার সহযোগীতায় নিজে স্বাবলম্বী হতি পারিছি এতেই খুশি। আয়ুব আলীর তিন বিঘা জমির কৃষি খামার ঘুরে দেখা গেছে, চার দিকে মাটির আইল দিয়ে তার মধ্যে মাছ চাষের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডাঙ্গা জমিতে ব্রী-২৮, বীনা-৮ জাতের লবন সহিষ্ণু ধান লাগিয়ে বিঘা প্রতি ২১ মন ধান পেয়েছেন। সেই সাথে বাগদা, গলদা, ভেটকি, রুই, কাতল চাষ করে এ বছর খরচ বাদে তার ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তাছাড়া জমির আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ আরো বাড়তি সাত হাজার টাকা আয় হয়েছে তার। সে তার কম্পোজিট পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ সদস্যের সংসারে যাবতীয় খরচ বাদে এখন কিছু টাকা জমাতে পেরেছেন।
দিন মজুর আয়ুব আলী শেখের সফলতায় তার দেখাদেখি ওই গ্রামে এখন অনেক কৃষক তাদের লবনাক্ত জমিতে এমন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। গাজী পাড়া গ্রামের কৃষক অনীল মন্ডল বলেন, " আয়ুব শেখ আমাগের চোখ খুলে দেছে। আমরা এখন তার মতো করে সবজী, ধান, মাছ এক সাথে লাগানোর কথা ভাবতিছি। " পরিবর্তনের কয়রা উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ আব্দুর রব রায়হান জানান, তাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার গাজীপাড়া সহ ৫ নম্বর কয়রা, অন্তাবুনিয়া, ২ নম্বর কয়রা, পূর্ব মহারাজপুর গ্রামে হতদরিদ্র কৃষকদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। জেজেএসের প্রকল্প সমন্বয়কারি জিয়া আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যায়ে বিপর্যস্ত কয়রা এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকদের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এলাকার কৃষি ও পরিবেশের উপর প্রভাব রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান তিনি। কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, কয়রা উপজেলার জন্য এ ধরনের আরো প্রকল্প গ্রহন করা দরকার। এতে বিপর্যস্ত কৃষি প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করেন তিনি।(
ফেয়ার নিউজ)
খবর বিভাগঃ
ফিচার
ফিচার পাতা
সর্বশেষ সংবাদ
0 comments:
পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়