Thursday, May 16

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরছেন উপকূলবাসীরা

‘মহাসেন’র আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা বৃহস্পতিবার বিকেলের পরপরই ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। জীবন বাঁচাতে তারা পার্শ্ববর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা চট্টগ্রাম নগরী ও  জেলার ছয়টি উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ বুধবার রাতের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছিলেন। জেলা ও  উপজেলা প্রশাসন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এসব আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম এখন বিপদমুক্ত। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে থেকে লোকজনকে নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীসহ উপজেলা এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে রোদ উঠে। এরপরেই আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া অধিকাংশ মানুষজন প্রশাসনের নির্দেশনার অপেক্ষায় না থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে অধিকাংশ লোক ঘরে ফিরে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই খাজা আল-আমিন সন্ধ্যায় বাংলানিউ‍জকে জানান, আশ্রয়কেন্দ্রের লোকজনদেরকে বাড়ি  ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সচিব মো. সামসুদ্দোহা বাংলানিউজকে জানান, ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনদেরকে বাড়িতে যেতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনা ‍অনুযায়ী মানুষজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় সকল স্থানে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার বিকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম এ কথা জানান।

শাহ আলম বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সীতাকুণ্ডু, ফেনী এবং ভারতে ত্রিপুরার কিছু অংশে অবস্থান করছে। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঝড়টি আরো দূর্বল হয়ে ক্রমশ মিয়ানমারের দিকে সরে যাচ্ছে। মহাসেন সংক্রান্ত আর কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্ভাবনা না থাকায় বিপদ সংকেত প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়েছে।”(বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
)

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়