Sunday, March 17

:: কানাইঘাটে গুপ্তধন পাওয়ার আশায় ভাইয়ের মৃত্যু ॥ বোন গুরুতর অসুস্থ ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট ৬নং সদর ইউপির ভাটিদিহি গ্রামে কথিত গুপ্তধন পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন ধরে মানষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে বন্ধি অবস্থায় এক ভাইয়ের মৃত্যু অপর বোন অসুস্থতার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কানাইঘাট থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের একটি মেডিকেল টিম গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানষিক রোগে আক্রান্ত ঐ মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভাটিদিহি গ্রামের মৃত মোবারক আলীর পুত্র হারুন রশিদ (৩২) দীর্ঘদিন ধরে মানষিক রোগে ভোগছিল। সে অসুস্থতার জন্য গ্রাম্য ভন্ডপীর নামধারী স্মরণাপন্ন হলে নাম অজানা একজন গ্রাম্য পীর তার বসত ঘরের নিচে গুপ্তধন রয়েছে এটা পেতে হলে পানি ও গোলাপজল ছাড়া কোন ধরনের খাবার ছাড়াই বন্ধি অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেন। পীরের এমন নির্দেশে মানষিক রোগে আক্রান্ত হারুন রশিদ সে তার স্বামী পরিত্যক্ত বোন হালিমা (৩৫) কে নিয়ে নিজ ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ভুতুড়ে পরিবেশে প্রায় একমাস থেকে কোন ধরনের খাবার ছাড়াই দিনানিপাত করতে থাকে। গত ৯দিন পূর্বে ভাই-বোনের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ভাই ময়না মিয়া ও বাড়ীর লোকজন মাটির ঘরের দরজা ভেঙ্গে মুমূর্ষ অবস্থায় অসুস্থ হারুন রশিদ ও হালিমা বেগমকে উদ্ধার করেন। পরে বাড়ীতে রেখে গ্রাম্য ডাক্তার দারা ৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর হারুন রশিদ গত শনিবার রাত ৮টায় মারা যান। আজ রবিবার তার লাশ দাফন করা হয়। গুপ্তধন পাওয়ার আশায় হারুন রশিদের মৃত্যু ও বোন হালিমা বেগমের অসুস্থতার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম.সোহরাব হোসেনকে স্থানীয় লোকজন এবং সাংবাদিকদের জানালে রবিবার বিকেল ৪টার সময় নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে থানার এস.আই বশির ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দু’জন ডাক্তার ঘটনাস্থলে যান। সেখান থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় হালিমা বেগমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনে হালিমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। হারুন রশিদের ভাই ময়না মিয়া জানান দুই বছর ধরে তার ভাই মানষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে লোক চুর আড়ালে বদ্ধ ঘরে বসবাস করে আসছেন। কয়েক মাস পূর্বে বোন হালিমাও মানষিক রোগে আক্রান্ত হন। তাদের চিকিৎসার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করা হলে দা রড নিয়ে তেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে পারেন নি। গুপ্তধনের পাওয়ার আশায় ভাই বোন বন্ধি ঘরে বসবাস করেছে বলে তার ধারনা। আবার অনেকে বলেছেন জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে হারুন রশিদকে পাগল বানিয়ে একটি মহল মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়