Saturday, January 19

!! কানাইঘাটে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ী ফিরলেন প্রেমিক সাইদুর !!



নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের বীরদল মাঝপাড়া গ্রামে তালতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গোপনে তার বাড়ীতে দেখা করতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে খুন হয়েছেন সাইদুর রহমান নামের ২০ বছরের এক যুবক। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাইদুর রহমানকে তালাতো ভাইয়ের পরিবারের লোকজন কর্তৃক পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তার লাশ প্রেমিকার বাড়ীর পুকুরে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে কানাইঘাট থানা পুলিশ আজ শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। পুলিশ ও বাদীর এজাহার সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের কন্যা তালতো বোন ফাতেমা বেগমের সাথে সাইদুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ছিল। এরই সুবাদে প্রায়ই সাইদুর প্রেমিকার বাড়ীতে যাতায়াত করত। বিষয়টি জানতে পেরে ফাতেমার অভিভাবক সাইদুর রহমানের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সাইদুরের পরিবার তা প্রত্যাখান করে। এঘটনায় ফাতেমার  অভিভাবকগণ ক্ষুব্ধ   হয়ে সাইদুরকে তাদের বাড়ীতে আসতে নিষেধ করেন। কিন্তু প্রেমের টানে গোপনে গোপনে সকল বাঁধা উপো করে সাইদুর প্রায়ই প্রেমিকার বাড়ীতে গিয়ে তার সাথে দেখা করত। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সাইদুর রহমানের ভাই বিলালের শ্বশুর আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ীর পাশের মাঠে ফুটবল খেলা শেষে অনুমান সন্ধ্যা ৭টায় সাইদুর প্রেমিকার বাড়ীতে যায়। ঐদিন অনুমান রাত ১০ টায় বিলালের শ্বশুর আব্দুল কুদ্দুস সাইদুরের বাড়ীতে গিয়ে জানান যে, সাইদুরের লাশ তাদের বাড়ীর পুকুরে ভাসছে। খবর পেয়ে সাইদুরের আত্মীয়-স্বজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পুকুর থেকে সাইদুরের লাশ পাড়ে তুলেন এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনসাধারণের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে নিহতের মা নেহারুন বেগম (৬০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে কানাইঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৫,(০১)১৩) দায়ের করেন। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাইর সাথে কথা হলে তিনি কানাইঘাট নিউজকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য ওমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর সময় মৃতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়