Saturday, December 29

এটিএম কার্ড দিয়ে যে কোন বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে

নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি এড়াতে এখন থেকে বাড়তি সার্ভিস চার্জ ছাড়াই এটিএম কার্ডধারীরা যে কোন ব্যাংক (এক ব্যাংকের কার্ডধারি অন্য ব্যাংকে) থেকে বুথের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ন্যাশনাল পেমেন্ট স্যুইচের (এনপিএস) আওতায় প্রত্যেক এটিএম কার্ড ব্যবহারকারী এখন থেকে এ সুবিধা পাবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সব ইলেকট্রনিক হস্তান্তরকে এক প্লাটফরমে আনা সম্ভব হয়েছে। এতে নিরাপদ ও সহজে লেনদেন সম্পন্ন হবে। সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা, বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবির প্রেসিডেন্ট ও বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমীন, পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ ও দাশগুপ্ত অসীম কুমার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



সভায় জানানো হয়, শুরুতেই বেসরকারি খাতে পূবালী, সাউথইস্ট ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এনপিএস কার্যক্রমের আওতায় আসছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ব্যাংকগুলোকেও এ প্রকল্পের অধীনে আসবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় এর বাস্তবায়ন হয়েছে। ব্যাংকগুলো পৃথকভাবে এ পদ্ধতি চালু করলেও এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে সার্বিক ব্যাংকিং খাতের প্রধান মনিটরিং সার্ভার হিসেবে কাজ করবে। যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সার্ভারের এক যোগসূত্র থাকবে। এক্ষেত্রে যদি কোন এটিএম কার্ড ব্যবহারকারী অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা তুলে তাহলে মনিটরিং সার্ভারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উত্তোলনকারীর ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে ওই এটিএম বুথের স্থাপনকারীর ব্যাংকে ধার শোধ করে দেবে। এতে ব্যাংকের ব্যয় কমার পাশাপাশি গ্রাহকরা নিরাপদ লেনদেন করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, এ পদ্ধতির মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রায় তিন হাজার এটিএম বুথ ও আড়াই হাজার পয়েন্ট ওভার সেল (পিওএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পাবেন গ্রাহকরা। যার মাধ্যমে সব ব্যাংকিং লেনদেন নিরাপদ ও সহজ হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর অবকাঠামোগত ব্যয় কমবে। সেই সঙ্গে নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি ও কমবে।


শেয়ার করুন

0 comments:

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়