Thursday, November 15

:: কানাইঘাট এখন ভূয়া কবিরাজদের নিরাপদ আস্তানা ::

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কানাইঘাট উপজেলা সর্বত্র ভূয়া কবিরাজ ও হেকিমদের দৌরাত্য অনেকাংশে বেড়ে চরম আকার ধারন করেছে। হাতুড়ে এসব অনভিজ্ঞ হেকিম কবিরাজদের তৈরী ঔষধ খেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপজেলার ভিবিন্ন হাট বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, জনবহুল স্থানগুলোতে ভূয়া কবিরাজদের ভিড়। এরা বিভিন্ন জাতের লতা, পাতা, গাছের ছাল দিয়ে পসরা সাজিয়ে জনবহুল স্থানগুলোতে বসে থাকে। সন্ধ্যার পর হলে তাদেরকে বেশী দেখা যায়। ঔষধের অসংখ্য কৌঠা সাজিয়ে ঢাক, ডোল বাজিয়ে হাতে হ্যান্ড মাইক দিয়ে কখনও রেকর্ডার বাজিয়ে লোকজনদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে। আবার অনেক কবিরাজ পথচারী লোকজনদের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য নানা ধরনের বণ্য পশু-পাখির হাড়, চামড়া প্রদর্শন করে লোকজনদের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ঔষধ বিক্রি স্থানে তারা নিজস্ব কাউকে দাড় করিয়ে রাখে। দরিদ্র রোগীরা এসব কবিরাজদের তৈরী ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারো কারো জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। তবুও এসব যেন দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন কর্মকর্তার  সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তাঘাটে ঔষধ বিক্রির কোন নিয়ম নেই। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। কবিরাজের এসব ঔষধ মান সম্মত নয়।


শেয়ার করুন

2 comments:

  1. bebosta nitay onurud korbo.............

    ReplyDelete
  2. কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ী সীমাবাজারে এইরুপ একজন ভূয়া হার্বাল ডাক্তার আজমল, বিভিন্ন চটকদার কথাবার্তা বলে এলাকার সহজ সরল মানুষকে ধোকা দিয়ে আসছে। "মালেকা হর্বাল হোমিও সেন্টার" নাম দিয়ে একটি দোকান খুলেছে সে।সে নাকি কম্পিউটারে রোগ দেখাতে পারে রোগীকে ।কীডনির পাথর সংক্রান্ত রোগীকে অপারেশন করতে বারন করে বলে "মাত্র ১সপ্তাহে পাথর বের করে আনব"। এর পর মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাসের পর মাস রোগীকে ভূগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হউক।

    ReplyDelete

পাঠকের মতামতের জন্য কানাইঘাট নিউজ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়